২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

ঘটমান সংবাদ এ স্বাগতম।  সাথেই থাকুন।
হোমজাতীয়ডিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী ধাপ ক্যাশলেস সোসাইটি : জয়

ডিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী ধাপ ক্যাশলেস সোসাইটি : জয়

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী ধাপ হলো স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ক্যাশলেস সোসাইটি বিনির্মাণ করা। তিনি আজ ভার্চুয়ালী আয়োজিত ব্লেজ সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী স্বপ্ন ও ধাপ হলো একটি ক্যাশলেস সোসাইটি বিনির্মাণ করা। এই ব্লেজ সার্ভিস ক্যাশলেস সোসাইটিরই একটি অংশ।’



অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জামাল আহমেদ।

এতে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী সমাপনী এবং একই ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

সোনালী ব্যাংক, হোমপে এবং আইটিসিএলের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই ব্লেজ সার্ভিস চালুর হওয়ায় ‘হুন্ডি’র মাধ্যমে টাকা পাঠানোর প্রবণতা কমে যাবে এবং দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরো বাড়বে।



এই সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বের যে কোন দেশ থেকে প্রবাসীদের কষ্টার্জিত টাকা মাত্র ৫ সেকেন্ডের মধ্যে সহজে ও নিরাপদে দেশে পাঠানো যাবে। দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সোনালী ব্যাংকই প্রথম এ ধরণের কার্যক্রম চালু করল। এতে প্রবাসীদের দেশে টাকা পাঠানো সহজ হবে এবং সুবিধাভোগীরা দ্রুত ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের টাকা গ্রহণ করতে পারবে।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শক্তিশালী নেতৃত্ব ও নির্দেশনার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে গত ১২ বছরে আইটি খাতের উন্নয়নে ব্যাপক সফলতা লাভ করেছে।

তিনি বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি সারা বিশ্বের মানুষের জীবনধারা ও অর্থনীতিতে পরিবর্তন এনেছে এবং চলমান করোনাভাইরাসের মহামারী তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।



তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ অনেক আগেই নিজেকে ডিজিটাইজেশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ায় দেশের অর্থনীতিকে কোভিড-১৯  মহামারীর ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখী হতে হয়নি।

জয় বলেন, ডিজিটাইজেশনের কারণে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারিকালে বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক ভাল ভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ মহামারী শুরুর পরপরই ভিডিও কনফারেন্সিং এবং ই-ফাইলিংসহ বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করে। বাংলাদেশ সফলভাবে এই সকল প্রযুক্তি ব্যবহার করে।



গত ১২ বছরে আইসিটি বিভাগ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রসহ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক সফলতা অর্জন করে।

শুধুমাত্র তথ্য প্রযুক্তির কারণেই দেশের প্রায় চার কোটি মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক তৈরি হয়েছে এবং প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার ৩শ’ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। বিইএফটিএন, আরটিজিএস ও বিএসিএইচ’ ও মাধ্যমে মাসে যথাক্রমে ৫৪ হাজার ৪৯০ কোটি, ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪১১ কোটি এবং ৮৯ হাজার ৬৩ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে।

তাছাড়াও প্রতি মাসে এনপিএসবি’র অধীনে এটিএম, পিওএস এব আইবিএফটি মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৭২৫ কোটি, ১৩৮ কোটি এবং ৫৪২ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে।



দেশের নগর ও গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকভাবে ই-কমার্স বিস্তৃত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫ লাখেরও বেশি গ্রহিতা ‘ এক শপ’র মাধ্যমেই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

ব্লেজ বাংলাদেশের প্রথম ৩৬৫ দিনে সার্বক্ষনিক আন্তঃসীমান্ত লেনদেনের একটি নেটওয়ার্ক। ৫ সেকেন্ডেরও কম সময়ে দেশে ৩৫ টি ব্যাংকের মাধ্যমে এই সার্ভিস ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা করবে।


আরও পড়ুন :

Print Friendly, PDF & Email

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

সর্বশেষ খবর

Recent Comments