মাত্রাতিরিক্ত কফি বিপদ ডেকে আনতে পারে। কপি পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। আবার এমন অনেকেই আছেন যাদের সকালবেলা এক কাপ কফি না হলে চলেনা।
তাছাড়া কফি শুধু স্বাদে ভালো তা নয় এটি হার্টের রোগ, অবসাদ, ওজন কমানোসহ সারাদিন আমাদের মন ফুরফরে রাখতে সাহায্য করে। তাই কফি হয়ে উঠেছে আমাদের কাছে খুব পছন্দের একটা পানীয়।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে কফি লিভারের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এতে অধিক পরিমানে ক্যাফেইন থাকায় এই পানীয় নিম্ন রক্তচাপ জাতীয় সমস্যা সমাধানের জন্যে উপকারী ।
তবে কোনো কিছুই মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া ভালো না। তেমনি কফিও বেশি খাওয়া ভালো না। বিষয়টি হয়ত অনেকের কাছেই অজানা। তাই অনেকেই দিনে একাধিক বার কফি খান। কফিতে ক্যাফেইন নামক যে পদার্থটি থাকে সেটি শরীরের পক্ষে একটা মাত্রা পর্যন্ত ভালো। তার থেকে বেশি খেলেই সমস্যা।
মাত্রাতিরিক্ত কফি যে ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে………
১. অতিরিক্ত কফি এক সময়ে রক্তে ক্যাফিন বোঝাই করে দেয়। ফলে এটার প্রতি আসক্তি তৈরি হতে থাকে। অন্যান্য নেশার মত নির্দিষ্ট সময় পরপর কফি না খেলে মেজাজ খিটখিটে হতে থাকে।
২. রক্তের এই মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফিন প্রভাব ফেলে হৃদযন্ত্রে। এর ফলে শরীলের এই অঙ্গের কাজকর্মও ব্যাহত হয়। এমনকি রক্তচাপও বদলে যেতে পারে।
৩. প্রচুর পরিমাণে কফি পান করার ফলে, ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফলে মস্তিষ্কের কাজও ব্যাহত হতে পারে। যারা মাত্রাতিরিক্ত কপি খায় তাদের ঘুম কমে যায়। ঘুম কম হওয়ার কারণে মেজাজ খিটখিটে থাকে।
৪. এটি অধিক পরিমাণে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে এবং উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
তাহলে দিনে সর্বোচ্চ কত কাপ কফি খাওয়া উচিত?
আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, মাত্রাতিরিক্ত কফি পান ডেকে আনতে পারে নানা বিপদ।
গবেষণায় বলা হয়েছে, দিনে চার কাপের বেশি কফি পান করা ঠিক না। তবে কোনো কোনো দিন পাঁচ কাপ পান করা যেতে পারে। কিন্তু কোনোভাবেই এর বেশি কপি পান করা যাবেনা। কারণ, দিনে চার কাপ কফি পানে হৃদযন্ত্র নিয়ে শংকায় থাকতে হবে না এবং ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটবে না।
আরও পড়ুন: পুনরায় ভাত গরমে কিছু সাবধানতা