১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঘটমান সংবাদ এ স্বাগতম।  সাথেই থাকুন।
হোমবিজনেসখবরপরিবর্তনহীন চালের উচ্চমূল্যের বাজার

পরিবর্তনহীন চালের উচ্চমূল্যের বাজার

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সকল দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষেরা। তবে গত এক সপ্তাহ যাবৎ পরিবর্তনহীন রয়েছে চালের উচ্চমূল্যের বাজার।

নতুন করে কোনো চালের দাম বৃদ্ধি পায়নি। তবে চিকন চালের দাম কেজিতে এক টাকা কমছে এবং মোটা চাল গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এদিকে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আমদানিকৃত চাল বাজারে ঢুকতে শুরু করেছে। তবে ব্যবসায়ীরা ডলারের দাম বাড়তি এবং সংকটের কারণে বড় চালানে চাল আমদানি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

শনিবার কয়েকটি খুচরা বাজারে, জাত ও মানভেদে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৯০ টাকা দরে । মাঝারি মানের চাল পাইজাম ও হাস্কি ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা। আটাশ চাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। মোটা চাল স্বর্ণা ৫২ থেকে ৫৫ টাকা। গত সপ্তাহেও চিকন চাল ছাড়া অন্য সব চাল একই দামে বিক্রি হয়েছে।

পাইকারি বাজারে চিকন চাল প্রতি কেজি মিনিকেট মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৭২ টাকা, নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৮০ টাকা, বাসমতি ৭৮ থেকে ৮৫ টাকা। মোটা চাল প্রতি কেজি পাইজাম ৫০ থেকে ৫৩ টাকা, স্বর্ণা ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা। মাঝারি মানের প্রতিকেজি আটাশ চাল ৫৩ থেকে ৫৬ টাকা। হাস্কি চাল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, হঠাৎ করে তেলের দাম দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চালের সরবরাহ কমে গিয়েছিল। তখন মিলমালিকরা সুযোগ বুঝে চালের দাম বাড়িয়ে দেয়। তবে এখন বাজারে চাহিদা কমে গেছে তাই চালের দাম বাড়ছে না, কিন্তু পরিবর্তনহীন রয়েছে চালের উচ্চমূল্যের বাজা। মোটা চালের দাম আগের মতোই আছে। চিকন চাল বস্তায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা কমেছে মানভেদে। অন্যদিকে আমদানিকৃত চালও বাজারে আসতে শুরু করেছে। ডলারের দামও নিম্নমুখী। আমদানি পর্যায়ে আরও ১০ শতাংশ ভ্যাট কমানোর কথা চলছে। ফলে চাল আমদানি বেড়েছে। আশা করা যাচ্ছে, সামনে দাম আরও কমে আসবে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ঢাকার বাজারে মোটা চালের পাইকারি মূল্য প্রতি কেজি ৪৪ থেকে ৫০ টাকা। আর খুচরা মূল্য প্রতিকেজি ৪৮ থেকে ৫২ টাকা।

গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমদানি নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। চাল আমদানির সুবিধাজনক পেমেন্টের জন্য যা যা করার দরকার, তা ক্লিয়ার আছে।

আপনারা দেখতে থাকেন, গম আসতে থাকবে, চাল আসতে থাকবে। চালের দামও কমছে তো। গত সপ্তাহে যেটা বাড়িয়েছে, সেটা কমছে। এর মধ্যে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএস দেওয়ার পরে তো কমবে, আমরা আশা করছি। ওএমএস’র বিতরণের ঘোষণা দেওয়ার পরই চালের দাম আস্তে-আস্তে কমছে।

আরও পড়ুন: অফিসে নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে, অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা : রাষ্ট্রপতি

Print Friendly, PDF & Email

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

সর্বশেষ খবর

Recent Comments