হোম অন্যান্য আইন ও অপরাধ একটি অসম প্রেমের করুণ পরিসমাপ্তি

একটি অসম প্রেমের করুণ পরিসমাপ্তি

একটি অসম প্রেমের করুণ পরিসমাপ্তি

ভালোবাসা বয়সের পার্থক্য মানে না। নাটোরে এমনই এক মধ্যবয়স্ক কলেজ শিক্ষিকার সাথে অল্প বয়সী ছাত্রের ভাইরাল বিয়েকে কেন্দ্র করে এমন আলোচনা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিলো কয়েকদিন আগে। কিন্তু বিয়ের মাত্র আট মাসের মধ্যে স্ত্রী খায়রুন নাহারের মৃত্যুর মাধ্যমে একটি অসম প্রেমের করুণ পরিসমাপ্তি ঘটলো, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।

তবে কী এমন অসম প্রেমের গন্তব্য এরকম একটি করুণ মৃত্যুর মাধ্যমে নির্ধারিত? প্রশ্ন থেকে যায়।

সারাজীবন একসাথে থাকার শপথ নিয়ে যে প্রেম বিয়েতে গড়ালো, কী এমন ঘটলো যে তাদের একজনের জীবনের বিনিময়ে তার হিসাব চুকাতে হলো?

এমন প্রশ্ন আজ সকলের মনে। যেকোন সম্পর্কের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার জন্য সাবধান করছেন অনেকে, বিশেষ করে এমন একটি অসম প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে।

আলোচিত সেই অসম প্রেমের কাহিনীর নায়িকা নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার। গতরাতে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে সদর থানা পুলিশ তার মরদেহ নাটোর জেলা শহরের বলারীপাড়ায় ভাড়া বাসার চারতলা থেকে উদ্ধার করে। এর আগে ভোর রাতে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে ভবনের অন্য বাসিন্দাদের জানান নিহতের স্বামী ও বাসার লোকজন। তবে ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা সে বিষয়ে নিশ্চিত না হওয়ায় ভবনের অন্য বাসিন্দারা নিহতের স্বামী মামুনকে আটকে রাখে। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়।

আলোচিত মামুন-খায়রুন নাহার দম্পতি নাটোর জেলা শহরের বলারীপাড়ার হাজী নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চারতলায় ভাড়া থাকতেন।

নিহত খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর মোজাম্মেল হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে। মামুন হোসেন একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রোববার ভোরে নিহতের স্বামী মামুন তার স্ত্রী খায়রুন নাহার শেষ রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ভবনের অন্য বাসিন্দাদের জানান। পরে ভবনের অন্য বাসিন্দারা এবং স্থানীয় অন্যান্য লোকজন তার বাসায় গিয়ে খায়রুন নাহারের মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে তাদের সন্দেহ হয় এবং মামুনকে বাসায় আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। তাছাড়া নিহতের স্বামী মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।

ওসি বলেন, তারা বিষয়টির তদন্ত করছেন। সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও ঘটনাটির তদন্ত করবেন। তদন্ত ও মরদেহের সুরতহাল শেষ হলে নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। তবে হত্যা আর আত্মহত্যা যাই হোক না কেন এই ঘটনা কেন ঘটলো তা পুলিশ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে। তবে প্রাথমিকভাবে তার গলায় ফাঁসের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

এদিকে পুলিশ, পিবিআই, সিআইডি ও ডিবি পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে অতি গোপনীয় নথিপত্র জব্দ

Print Friendly, PDF & Email

কোন মন্তব্য নেই

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Exit mobile version