৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৫ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ঘটমান সংবাদ এ স্বাগতম।  সাথেই থাকুন।
হোমবিজনেসখবরজনসন অ্যান্ড জনসন এর বেবি পাউডারে ক্যান্সার, উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ

জনসন অ্যান্ড জনসন এর বেবি পাউডারে ক্যান্সার, উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ

জনপ্রিয় ব্র্যান্ড জনসন অ্যান্ড জনসন সারাবিশ্বে তাদের বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। ২০২৩ সালে সারাবিশ্বে ট্যাল্ক জাতীয় বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধের কথা জানিয়েছে কোম্পানিটি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি'র প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেঅ্যান্ডজের পাউডারের সম্ভাব্য ক্ষতিকারক উপাদান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে হাজার হাজার ভোক্তা নিজেদের সুরক্ষায় জনসন অ্যান্ড জনসন এর বিরুদ্ধে ২০২০ সালে মামলা দায়ের করার পর বিশ্বজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়।

ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দাবি, ট্যাল্ক জাতীয় পণ্যগুলোয় কারসিনোজেনের অ্যাসবেসটসের উপস্থিতির কারণে অনেকে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছেন। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে জেঅ্যান্ডজের বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধ থাকে। এবার ২০২৩ সাল থেকে সারাবিশ্বে ট্যাল্ক জাতীয় বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলো।

এক বিবৃতিতে জনসন অ্যান্ড জনসন জানায়, বিশ্বব্যাপী পোর্টফোলিও নিরীক্ষার অংশ হিসেবে আমরা একটি বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সব ট্যালকম জাতীয় পাউডারের উৎপাদন কর্নস্টার্চ জাতীয় বেবি পাউডারে রূপান্তরিত করা হবে।

“বিশ্বব্যাপী পোর্টফোলিও মূল্যায়নের অংশ হিসাবে, আমরা একটি কর্নস্টার্চ-ভিত্তিক বেবি পাউডার পোর্টফোলিওতে রূপান্তর করার বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় কর্নস্টার্চ জাতীয় বেবি পাউডার বিক্রি হচ্ছে বলেও জনসন অ্যান্ড জনসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ২০১৮ সালে রয়টার্সের অনুসন্ধানে ট্যাল্ক জাতীয় পণ্যে কারসিনোজেনের উপস্থিতি সম্পর্কে জেঅ্যান্ডজে কয়েক দশক আগে থেকেই জানতো বলে জানা যায়।

১৯৭১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নথি, বিচারিক স্বীকারোক্তি ও অন্যান্য প্রমাণে দেখা গেছে, জেঅ্যান্ডজের পণ্যের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত ট্যাল্ক ও বিক্রির জন্য প্রস্তুত বেবি পাউডারে স্বল্প পরিমাণ অ্যাসবেসটস পাওয়া যায় তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

তবে জনসন অ্যান্ড জনসনের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ বরাবরের মতো প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানা যায়।

এদিকে J&J তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে যে, এর বেবি পাউডার ব্যবহার করা নিরাপদ, “আমাদের কসমেটিক ট্যাল্কের ব্যবহার নিরাপদ এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।”

কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, “আমরা বিশ্বজুড়ে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের কয়েক দশকের স্বাধীন বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানে দাঁড়িয়েছি যা নিশ্চিত করে যে ট্যাল্ক-ভিত্তিক জনসনের বেবি পাউডার নিরাপদ, এতে অ্যাসবেস্টস নেই এবং ক্যান্সার সৃষ্টি করে না।”

সূত্র: বিবিসি

আরও পড়ুন: চীনে নতুন ভাইরাস,৩৫ জন আক্রান্ত

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

সর্বশেষ খবর

Recent Comments