জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী আজ।
১৯৪৯ সালের এই দিনে তিনি তদানীন্তন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে বিপদগামী একদল সেনাকর্মকর্তার নির্মম বুলেটে মাত্র ২৬ বছর বয়সে শাহাদাতবরণ করেন তিনি।
দিনটি পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন ক্রীড়া ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠন আগামীকাল সকাল ৮টায় ধানমন্ডিস্থ আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে শহীদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে বনানী কররস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পরে অনুষ্ঠিত হবে কোরানখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ।
এদিকে, শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আলোচনা সভার আয়োজন করবে। এছাড়াও শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল ৫টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে।
আবহানীর প্রতিষ্ঠাতা শহীদশেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে রাত বারোটা এক মিনিটে ক্লাব ভবনে স্থাপিত তার প্রতিকৃতিতে ক্লাবের পক্ষ থেকে মাল্যদান এবং রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়। এছাড়াও দিনব্যাপী কোরআন তেলাওয়াত, বিকেল ৪টায় শহীদের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের উপর ভার্চুয়াল আলোচনা ও স্মৃতিচারণ এবং বাদ আছর ক্লাব ভবনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
বহুমাত্রিক অনন্য সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক শহীদ শেখ কামাল শাহীন স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে বি এ অনার্স পাস করেন।
বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি অঙ্গনের শিক্ষার অন্যতম উৎসমুখ ‘ছায়ানট’-এর সেতার বাদন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন, বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতাই ছিলেন না।
তিনি ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। অভিনেতা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যাঙ্গনে সুপরিচিত ছিলেন। শৈশব থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধূলায় প্রচন্ড উৎসাহ ছিল তাঁর।
শেখ কামাল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশনন্ড লাভ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
স্বাধীনতার পর শেখ কামাল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলেন এবং শাহাদাত বরণের সময় বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠন জাতীয় ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণের সময় তিনি সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের এমএ শেষ পর্বের পরীক্ষার্থী ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শহীদ শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালন করার জন্য দল ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৫৭ রান দরকার তামিমের