যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে সান আন্তোনিওতে সড়কের পাশে একটি লরির ভেতর থেকে ৪৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা সবাই অভিবাসী বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, টেক্সাসে লরির ভেতর থেকে আরও ১৬ জনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এদের ১২ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৪ জন শিশু।
মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো ইব্রার্ড বলেছেন, নিহতদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নিউইয়ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার পর থেকে গাড়ির চালক পলাতক রয়েছে। সান আন্তোনিওর পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে ধরতে অভিযান শুরু করেছে।
টেক্সাসের সান আন্তোনিও শহরটি মার্কিন-মেক্সিকান সীমান্ত থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি মানব পাচারকারীদের একটি প্রধান পথ।
টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট এসব মানুষের মৃত্যুর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, বাইডেনের উন্মুক্ত সীমান্ত নীতির ফলাফল এটি।
বিবিসি জানিয়েছে, কীভাবে এসব মানুষ মারা গেল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয় এবং স্থানীয় পুলিশ এখনও এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
গাড়িটি হাইওয়ে ১-৩৫ এর কাছে একটি রাস্তায় পাওয়া গেছে, যা মেক্সিকো সীমান্ত পর্যন্ত প্রসারিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রধান সড়ক।
পুলিশ, ফায়ার ফাইটার ও অ্যাস্বুলেন্স নিয়ে ঘটনাস্থলে ব্যাপক অভিযান চলছে।
অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর নীতির পক্ষে থাকা টেক্সাসের রিপাবলিকান গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট এই বিপর্যয়ের জন্য জো বাইডেনের ‘সীমান্ত খোলা রাখার মারাত্মক’ নীতির সমালোচনা করেছেন।
সান অ্যান্তেনিওতে ২০১৭ সালে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তখন ভাঙ্গা এয়ারকন্ডিশনসহ একটি ট্রেলাওে শ্বাসরোধ হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সিলিন্ডারে কতটুকু গ্যাস রয়েছে, তা জানার উপায়