১২ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ঘটমান সংবাদ এ স্বাগতম।  সাথেই থাকুন।
হোমজাতীয়পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু

জমকালো আয়োজনে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে বহুল প্রতিক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শনিবার সকাল ১০টা ১৪ মিনিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে অংশ নিয়েছেন দেশ বিদেশের আমন্ত্রিত অতিথি।

সমাবেশে অংশগ্রহণ শেষে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর প্রকাশ করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী টোল প্লাজায় যাবেন। সেখানে তিনি টোল প্রদান করবেন।

টোল প্রদান করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করবেন। উদ্বোধন শেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যাবেন। জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক এবং ম্যুরাল-২ উন্মোচন করবেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত থেকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে যাবেন। সেখানে তিনি আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন।

জনসভায় যোগদান শেষে জাজিরা প্রান্তের সার্ভিস এরিয়া-২ তে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি হেলিকপ্টারে ঢাকায় ফিরে আসবেন।

২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর নির্মান কাজে ৩৭ এবং ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানোর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর অংশ দৃশ্যমান হয়।

পরে একের পর এক ৪২টি পিলারের ওপর বসানো হয় ৪১টি স্প্যান। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর শেষ ৪১তম স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে বহুমুখী ৬.১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর সম্পূর্ণ কাঠামো দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।

পদ্মা সেতু নির্মাণে পিলারের ওপর স্প্যান বসাতে ‘তিয়ান ই’ নামের বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রেন আনা হয়েছিল। এটি আনা হয়েছিল চীন থেকে। এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান ক্রেনবাহী জাহাজ।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। এ সেতুর দৈঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার।  এ সেতু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বড় শহরের সঙ্গে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ টি জেলার সড়ক এবং রেল যোগাযোগ স্থাপন করবে। ব্যাপক আলোচিত এ সেতু বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহের মধ্যে দিয়ে আজ বাস্তবায়ন হলো।

আরও পড়ুন: ঈদ বোনাস ২৬ জুনের মধ্যে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

সর্বশেষ খবর

Recent Comments