তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে রাজধানীর একটি বেসরকারি স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ছাত্রটির পরিবার। সম্প্রতি ওই শিক্ষককে পড়ানোর জন্য বাসায় আনা হলে যৌন নিপীড়ক শিক্ষককে দেখেই অজ্ঞান হয়ে যায় স্কুলছাত্রটি।
পরে ছাত্রটিকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিলে জানা যায় শিক্ষকের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঘটনা।
তিন মাস ধরে ওই শিশুকে যৌন নিপীড়ন করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মামলার পর বুধবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে রামপুরা থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে যৌন নির্যাতনের শিকার ঐ শিশুকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর একটি বেসরকারি স্কুলের বাংলা শিক্ষক মো. রোকনুজ্জামান ওই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রকে তিন মাস ধরে যৌন নির্যাতন করে আসছিলেন। স্কুল চলাকালীন টিফিনের সময় অন্যদের অনুপস্থিতিতে ঐ শিশুকে উপর নির্যাতন চালানো হতো। কিন্তু শিশুটি ভয়ে বিষয়টি পরিবারকে জানায়নি।
জানা যায়, সম্প্রতি বাসায় একজন শিক্ষক রাখার সিদ্ধান্ত নেন ঐ স্কুলছাত্রের বাবা-মা। এক শিক্ষককে বাসায় এসে পড়ানোর কথা বললে তিনি স্কুলের আরেক শিক্ষকের কথা বলেন। কাকতালীয়ভাবে ঐ শিক্ষক বাসায় পড়ানোর জন্য বাসায় এলে ঐ যৌন নিপীড়ক শিক্ষককে দেখে আঁতকে ওঠে ছাত্রটি। ঐ শিক্ষকের কাছে পড়বে না বলে কান্নাকাটি শুরু করে সে, এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে যায়।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে ৯ এর ১ ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়। ছেলে শিশু বলাৎকারের অভিযোগে এই মামলাটি হয়েছে। এরপর আমরা ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছি। শিশুটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার আসামি ওই শিক্ষককে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও জানান, শিশুটি ঐ শিক্ষককে বাসায় দেখে অজ্ঞান হয়ে যায় । পরে তার পরিবারের লোকজন ঐ শিশুটিকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান। সেখানে ধীরে ধীরে তার কাছ থেকে বিস্তারিত শোনার পর ছাত্রটির পরিবার মামলা করে।
আরও পড়ুন: প্রাক-প্রাথমিকে শিক্ষার মেয়াদ দুই বছর
সোনার বাংলা প্রকল্প নামে কৃষি মন্ত্রণালয়ে কোন প্রকল্প নেই
সিলেটে বন্যার্ত পরিবারের পাশে রিয়াজ-নিপুণ-সাইমনরা