বাবা দিবস কবে কখন আমার জানা থাকে না। কখন আসে চলেও যায়; আমি জানতেও পারি না। তবে প্রতি মুহূর্তে আমার “আব্বা” থাকেন আমার অনুভবে। তাঁকে দিনক্ষণ মেনে স্মরণ করা হয়ে ওঠে না আমার।
আমার আব্বাকে হারিয়েছি গত ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে।
আব্বা আমার অনুভবে এমনভাবে মিশে আছেন আমার কখনো মনেই হয় না তিনি আমাদের মাঝে নেই। আমি আমার প্রতিটি কর্মে তাঁকে পাশে পাই। তাঁর সাথে পরামর্শ করি ঠিক আগের মতো। তাঁর সাথে কথা বলি যখন ইচ্ছে হয়। কখনও মনেই হয় না তিনি আমাকে ছেড়ে গেছেন।
আম্মার সাথে যখন ফোনে কথা বলি তখন আম্মার পাশে আব্বাকে অনুভব করি। আব্বা পাশ থেকে আমাকে শুনছেন আম্মার মাধ্যমে। যখন বাড়িতে যাই, আব্বাকে না দেখি; মনে হয় যেনো হয়তো আছেন আশেপাশে। হয়তো নামায পড়তে গেছেন। নয়তো আবুল ফজল ভাইয়ের বাড়িতে। অথবা দোকানের পাশে মুরুব্বিদের সাথে কথা বলছেন। হতে পারে কোন আত্মীয়বাড়ি গেছেন। ঢাকায়ও থাকতে পারেন। তিনি আছেন আমাদের মাঝেই আছেন।
আমি, আমার যা কিছু, আমার আশেপাশের সবকিছু, আমি যা কিছু, আমার অস্তিত্ব সবই তো আপনি “আব্বা”।
কথাগুলো লিখেছিলাম ২০১৬ সালের এই দিনে। আজও সেই একই উপলব্ধি, একই অনুভূতি আমার আব্বাকে নিয়ে।
এখন অবশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে দিবসগুলো সামনে চলে আসে। ঠিক তেমনি বাবা দিবস কবে তাও জানতে পারি।
নিজে বাবা হয়েছি, উপলব্ধিটা আরও গভীর হয়েছে। বাবা হিসেবে সন্তানের প্রতি ভালোবাসার গভীরতা আরও স্পষ্ট এখন।
সন্তানের প্রতি বাবার স্নেহ ভালোবাসার গভীরতা আর বাবার প্রতি সন্তানের সম্মান ও ভালোবাসা এবং দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া পরিপূর্ণ হোক।
পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় হোক। টিকে থাকুক পরিবারগুলো।
[নুরুজ্জামান মাহ্দি]
আরও পড়ুন: ভাইভা বোর্ডের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন