ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রামপুরের কচু ও কচুরলতি বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। রামপুরের কচু ও কচুর লতি সারাদেশে এখন বিখ্যাত। রাজধানীসহ স্থানীয় বাজার গুলোতে এ অঞ্চলের কচু ও কচুরলতির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কচু ও কচুরলতি বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ত্রিশালের অনেক চাষিরা।
চাষিরা জমি থেকে কচু ও কচুরলতি তুলে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের গঁফাকুঁড়ি বাজারে নিয়ে আসে। স্থানীয় ও ঢাকার পাইকাররা এখান থেকে কচু ও কচুরলতি সংগ্রহ করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাক ভর্তি করে পাঠায়।
কচু ও কচুরলতি বিক্রেতা মকবুল হোসেন বলেন, আমি কৃষকদের কচু ও লতির ক্ষেত ক্রয় করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তা বিক্রি করি। আমাদের রামপুরের এ লতি ঢাকার পাইকাররা বিদেশে পাঠায়। আমার লতির ব্যবসায় ১৫ জন শ্রমিক বান্ডিলের কাজ করে। এতে তাদের সংসারও চলছে ভালোভাবে। কচুর লতি বিক্রি করার পর কচু বিক্রি করি।
স্থানীয় কৃষক ইউনুস আলী জানান, আমার ৬ কাঠা জমিতে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৮ হাজার টাকার লতি বিক্রি করি। মাসে প্রায় ৩২ হাজার টাকার লতি বিক্রি করি। লতি বিক্রি শেষ হওয়ার পরপরই কচু বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠে।
কচুরলতি ও কচু কিনতে আসা পাইকার আমজাত হোসেন বলেন, আমি অনেক বছর ধরেই কচু ও কচুরলতি এ বাজার থেকে কিনে ঢাকায় নিয়ে যাই। কচুরলতি ও কচুর ভালো চাহিদা রয়েছে। ঢাকার পাইকারদের কাছ থেকে শুনেছি এ কচুরলতি ও কচু বিদেশেও পাঠানো হয়। বিদেশেও এর অনেক চাহিদা রয়েছে। ত্রিশাল উপজেলার রামপুরের কচু ও কচুরলতি বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া রহমান বলেন, এ অঞ্চলের কচুর লতি ও কচু সারা দেশে বিখ্যাত। রামপুর গ্রামকে অনেকেই সবজি গ্রাম নামে চেনেন। গঁফাকুঁড়ি বাজার থেকে ট্রাকে ভরে প্রতিদিন পাইকাররা কচুরলতি ও কচু নিয়ে যাচ্ছেন। একটি প্রকল্পের মাধ্যমে রামপুরের কচু ও কচুরলতি রপ্তানি করার জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন:
সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে
বসা থেকে উঠলেই মাথা ঘোরায়? কারণ ও প্রতিকার
গর্ভকালীন সময়ে নারীদের বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম ও এর উপকারিতা
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী
পুষ্টিজাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে কাজ করছি : কৃষিমন্ত্রী