১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৮ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ঘটমান সংবাদ এ স্বাগতম।  সাথেই থাকুন।
হোমলাইফটিপসগর্ভকালীন সময়ে নারীদের বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম ও এর উপকারিতা

গর্ভকালীন সময়ে নারীদের বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম ও এর উপকারিতা

গর্ভকালীন সময়ে নারীদের বেশি নড়াচড়া করা বা ব্যায়াম করা, হাঁটাহাঁটি করা যাবেনা—এমন ধারণা অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু এই ধারণা  অনেক পাল্টে গেছে। বর্তমানে গর্ভকালীন সময়ে নানা ধরনের ব্যায়ামকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বিদেশে গর্ভাবস্থায় মেয়েরা ব্যায়ামাগারে গিয়ে নানা ধরনের ব্যায়াম করেন। এই সময় যত বেশি কর্মক্ষম থাকা যায় তত ভালো। চলুন গর্ভকালীন সময়ে নারীদের বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম ও এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই-

যারা নরমাল ডেলিভারির আশা করেন, তাদের জন্য ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। এতে শক্তি বাড়ে, মানসিক চাপ কমে। সব মিলিয়ে স্বাভাবিক প্রসব ত্বরান্বিত হয়। তবে একজন বিশেষজ্ঞের অধীনে ব্যায়াম করা ভালো।
গর্ভকালীন সময়ে নারীরা বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন যেমন- সাঁতার কাটা, হাঁটাহাটি করা, স্টেশনারি সাইক্লিং, ইয়োগা ইত্যাদি। তবে এসব ব্যায়াম শুরু করার আগে অবশ্যই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিতে হবে এবং একজন গাইনী বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে।

ব্যায়াম শুরু করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার গর্ভাবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ কি না। আগে থেকে যদি ব্যায়াম করার অভ্যাস থেকে থাকে তবে তা চালিয়ে যেতে পারেন। তবে পেটের ওপর যেন চাপ না পড়ে সাবধান থাকতে হবে। সাধারণত প্রথম তিন মাস পেটের উপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে না। একজন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধায়নে শরীরচর্চা করা ভালো।

শরীর ফিট রাখতে যেসব ব্যায়াম করা যেতে পারে:

  • সমান্তরাল রাস্তায় হাঁটা। হাঁটার যন্ত্রের সাহায্যেও হাঁটা যেতে পারে।
  • এ সময় সাইড লেক রেস, মাংসপেশির কিছু ব্যায়াম, স্ট্রেংথ স্ট্রেচিং করা যেতে পারে।
  • এ সময় সাঁতার কেটে ব্যায়াম করা যাবে।
  • ব্যায়ামের মধ্যে সিলি স্কট, বারবার উঠাবসা করা যেতে পারে।
  • প্রথমে হালকা ধরনের ব্যায়াম দিয়ে শুরু করতে হবে। অস্থির কিংবা খারাপ লাগলে ব্যায়াম করা যাবে না।

যে অবস্থায় শরীরচর্চা নিষেধ: উচ্চ রক্তচাপ, রক্ত শূন্যতা, হৃদপিণ্ড বা ফুসফুসে কোন রোগ থাকলে ব্যায়াম করা যাবে না। গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ হলে, ফুল নিচের দিকে থাকলে এবং প্লাসেটা প্রিভিয়া থাকলে ব্যায়াম নিষেধ করা হয়। আগে গর্ভপাতের ইতিহাস থাকলেও ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। ড্রাইভিং, জিমন্যাস্টিক, হকি খেলা, সাইকেল চালানো যাবে না।

উপকারিতা: গর্ভকালীন সময়ে ব্যায়াম মা ও শিশুর রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। পা ও কোমড়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। মাংসপেশি শিথিল করে। কাজে উদ্দম আনে। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে।ভালো ঘুম হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। গর্ভাবস্থায় শারীরিক এবং মানসিক কারণে বিভিন্ন ধরনের অস্থিরতা কাজ করে। ব্যায়াম এই অস্থিরতা দূর করতে সাহায্য করে।অনেক সময় গর্ভাবস্থায় নারীদের পায়ের রক্তনালি ফুলে উঠে।ব্যায়ম তা দূর করতে সাহায্য করে এবং স্বাভাবিক প্রস্রাবে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ে। গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও পেশিশক্তি বৃদ্ধি পাওয়া এবং অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।তাছাড়া পায়ে রগ টানা, পা ফোলার মতো সমস্যা কম দেখা দেয়।

তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করতে হবে। চিকিৎসক যদি নিষেধ করেন তবে ব্যায়াম করা যাবে না।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

সর্বশেষ খবর

Recent Comments

Mastodon Mastodon