হোম লাইফ মানসিক রোগের কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ

মানসিক রোগের কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ

মানসিক রোগের কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ
মানসিক রোগের কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ আছে। সে লক্ষণগুলো যদি আমাদের কারো মাঝে উপস্থিত থাকে। তাহলে আমরা অবশ্যই দেরি না করে একজন নিকটবর্তী সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে খুব দ্রুত অ্যাসেসমেন্ট এর জন্য যাব। চলুন সেই লক্ষণগুলো জেনে নেই-
১. প্রথম যে লক্ষণটা দেখা যায় সেটা হচ্ছে-ঘুমের প্যাটার্ন পরিবর্তন হওয়া। যেমন সাধারণত যে সময়টায় ঘুমানো উচিত সে সময় না ঘুমিয়ে অন্যসময় ঘুমানো অথবা 12-13 ঘণ্টা ঘুমানো। আবার অনেকের ঘুম আসতে দেরি হওয়া, রাতের বেলা ঘুম ভেংগে যাওয়া, সকালে যেসময় ঘুম থেকে উঠার কথা সেসময় ঘুম না ভাংগা, কাজ করতে করতে হঠাৎ ঘুমিয়ে যাওয়া।
২. যদি আপনি অনুভব করতে পারেন আগের চেয়ে আপনার মুখস্ত শক্তি কমে গেছে ,পড়া মনে থাকছে না তাহলে বুঝতে হবে আপনি মানসিক সমস্যায় রয়েছেন।
৩. সব সময় ক্লান্তি বোধ  করা । কোনো কাজে মনোযোগ না দিতে পারা, কোন কিছুতেই ভালো না লাগা, নিজেকে ছোট্ট বন্দি জায়গায় আটকে রাখা। বিয়ে বাড়িতে যাওয়া, ঘোরাঘুরি, আড্ডা, বিনোদন খেলাধুলা,বন্ধুদের সাথে আড্ডা কোন কিছুতেই ভালো না লাগা। এই লক্ষণগুলো যদি ২ সপ্তাহের বেশি সময় থাকে তাহলে অবশ্যই একজন নিকটবর্তী সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে যাওয়া উচিত।
৪. অত্যধিক দুশ্চিন্তা করা ও সবসময় আতংকের মধ্যে থাকা। সাধারণ বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করা।
৫. মানসিক সমস্যার কয়েকটি সাধারণ লক্ষণের মধ্যে একটি হচ্ছে হঠাৎ করে মুখের রুচি কমে যাওয়া, কোন কিছু খেতে না চাওয়া আবার এতটাই রুচি বেড়ে যাওয়া সব সময় খাই খাই করা। খাবার বেশি পরিমানে খাওয়া।
৬. ছেলেদের যৌন চাহিদা অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যাওয়া, মেয়েদের একদম কমতে থাকা।
৭. মৃত্যু কামনা করা।
৮. স্বাভাবিকের তুলনায় ওজন কমতে থাকা।
৯. নিজেকে সবসময় তুচ্ছ ,ফেইলর মনে করা
১০. সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে বারবার ভাবতে থাকা এবং নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারা।
১১. মন অতিরিক্ত ভালো হয়ে যাওয়া অথবা অতিরিক্ত খারাপ হয়ে যাওয়া।
১২. অতিরিক্ত নেশাগ্রস্থতা। গবেষণায় দেখা যায়, যারা নেশা করে তাদের প্রায় ৫০% এর কোন না কোন মানসিক রোগ থাকে। অ্যালকোহল যারা কাচ্ছেন তাদের ৩৭% মানসিক রোগী।
১৩. প্রচন্ড রেগে যাওয়া।
১৪. নিজের ক্ষতি করার চিন্তা করা অথবা সুইসাইড করার চিন্তা মাথায় আসা।
কারো যদি এ ধরনের লক্ষণ দেখা দেয় একদম অবহেলা না করে সাইকিয়াট্রিস্ট এর সাথে অ্যাসেসমেন্ট করা দরকার। কারণ মানসিক রোগের কারণে শারীরিক অনেক সমস্যা হয় যেগুলো আপনারা বুঝতে পারেন না।
আরও পড়ুন: শিশুর জন্য সকালের নাশতা কেমন হওয়া উচিত
Print Friendly, PDF & Email

কোন মন্তব্য নেই

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Exit mobile version