হোম বিদেশ আফ্রিকা বুরকিনা ফাসোতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৫০ জন

বুরকিনা ফাসোতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৫০ জন

বুরকিনা ফাসোতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৬ জন

বুরকিনা ফাসোতে কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। এসব হামলার জন্য জিহাদিদের দায়ী করা হয়েছে। সোমবার সরকারি মুখপাত্র লিওনেল  বিলগো একথা জানান। খবর এএফপি

পশ্চিম আফ্রিকার দরিদ্র দেশটিতে জিহাদি হামলার প্রতিবাদে সপ্তাহান্তে শত শত মানুষ  রাস্তায় নামে।

বিলগো বলেন, ‘শনিবার রাতে সেতাঙ্গা গ্রামে ভয়াবহ হামলার পর সেনা সদস্যরা এ পর্যন্ত ৫০ জনের লাশ উদ্ধার করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।’

বিলগো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘নিহতের আত্মীয়-স্বজনরা সেতাঙ্গায় গিয়ে লাশ নিয়ে যেতে পারেন।’

ইইউ জানায়, এ হামলায় শতাধিক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা এ ভয়াবহ হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে।

ইইউ’র বৈদেশিক নীতি বিষয়ক প্রধান  জোসেফ বোরেল এক বিবৃতিতে বলেন, ওই সন্ত্রাসী গ্রুপ এ হামলা চালাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে আতঙ্ক সৃষ্টির পথ বেছে নেয়।

স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেছেন, বিপুল সংখ্যক সন্ত্রাসী এসে বোলুঙ্গা গ্রাম এবং অ্যালগার সোনার খনির এলাকায় আক্রমণ করে।

তিনি বলেন, “সন্ত্রাসীরা বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং সোনার খনি এলাকায় লুটপাট চালায়। এ সময় কমপক্ষে চারজন আহত হয়েছে।

তিনি বলেন, বাসিন্দারা রোববার গ্রাম ছেড়ে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে বড় শহরের দিকে যাচ্ছিল।

দ্বিতীয় নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, শনিবার রাতে নাইজার সীমান্তের কাছে দেশের উত্তরাংশে সেতেঙ্গাতে আরেকটি “মারাত্মক হামলা” হয়েছে।

বিশদ বিবরণ না দিয়ে সূত্রটি বলেছে, “এতে বেশ কিছু লোক প্রাণ হারিয়েছে।

সেতেঙ্গার লোকজন বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলে ডোরি শহরে পালিয়ে গেছে।

ডোরির একজন স্থানীয় রাজনীতিবিদ জানিয়েছেন, শহরে ২ হাজারের বেশি লোকের আগমন ঘটেছে। তিনি আরো বলেন, কর্তৃপক্ষ ও লোকজন বাস্তুচ্যুতদের সংস্থানের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে।

রোববার সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পরিস্থিতির জটিলতার” কারণে মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্দেহভাজন জিহাদিরা সেতেঙ্গায় ১১ জন পুলিশকে হত্যা করেছে।

বৃহস্পতিবার সশস্ত্র বাহিনীর ১১ সদস্য প্রাণ হারান। এর জবাবে সামরিক বাহিনীর অভিযানে প্রায় ৪০ জিহাদি নিহত হন।

বিলগো বলেন, জিহাদিদের বিরুদ্ধে ‘সামরিক বাহিনীর অভিযানের প্রতিশোধ নিতেই সপ্তাহান্তের এ হামলা চালানো হয়।

তিনি বলেন, ‘দেশটি হামলার শিকার হওয়ায় তা দমনে সামরিক বাহিনী  কাজ করছে।’

এ অঞ্চলে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন জানায়, হামলার ঘটনায় প্রায় তিন হাজার মানুষ ওই গ্রাম থেকে পালিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন শহরে আশ্রয় নিয়েছেন।

স্থলবেষ্টিত এ সাহেল রাষ্ট্রে সাত বছরের জিহাদি হামলায় দুই হাজারেরও বেশি লোক নিহত ও ১৯ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

এদিকে বুরকিনা ফাসোতে পুলিশের একটি দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। সামরিক বাহিনী বলেছে, হামলায় বেশ কিছু সন্ত্রাসী ও সেনা সদস্য মারা গেছে।

আরও পড়ুন:
টোগোর উত্তরাঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি
একাই অনুশীলন করলেন সাকিব আল হাসান
খাদ্যপণ্য রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করার অনুরোধ বাংলাদেশের
নির্বাচনকালীন সরকার ইসিকে সহযোগিতা করবে বলে আশা সিইসি’র
জায়েদ খান আম্মুকে বিরক্ত করেন, বললেন মৌসুমীর ছেলে ফারদিন
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে এ বছরই
কৃষিখাতের আধুনিকায়নে এফএও বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে আগ্রহী
নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশনের বয়স নির্ধারণ করে দিল শিক্ষা বোর্ড

জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী ১৫ জুন
ভোজ্যতেলের চাহিদার ৪০ ভাগ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হবে: কৃষিমন্ত্রী

Print Friendly, PDF & Email

কোন মন্তব্য নেই

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Exit mobile version