হোম লাইফ টিপস সন্তানকে আত্মনির্ভরশীল করার উপায়

সন্তানকে আত্মনির্ভরশীল করার উপায়

সন্তানকে আত্মনির্ভরশীল করার উপায়

সন্তানকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে  তুলার জন্য প্রত্যেক বাবা-মাকে কিছু কৌশল আয়ত্ত করতে হবে। সন্তানদের নিয়ে প্রত্যেক মা-বাবারই অনেক স্বপ্ন থাকে। সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না তারা। সন্তানের সফলতা দেখার জন্য হাজারো ত্যাগ শিকার করেন। তবে সফলতা অর্জনের জন্য অবশ্যই আপনার সন্তানকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে হবে। এজন্য প্রত্যেক বাবা-মার উচিত সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা।

সন্তানকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে ছোট থেকেই ওকে স্বপ্ন দেখতে শেখান। ছোট ছোট কাজ করতে দিয়ে বাচ্চার মধ্যে দায়িত্ববোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। শিশুর মনে আত্মবিশ্বাস জন্মাতে চেষ্টা করুন।

জীবনে সফল হওয়ার জন্য আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজনীয়তা অনেক। আত্মবিশ্বাস ব্যতিত কেউ সফলতার চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছাতে পারে না। আর সে কারণেই আত্মবিশ্বাসী হয়ে গড়ে উঠতে হয় অনেক ছোট বয়স থেকেই। জেনে নিন সন্তানকে আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তুলার কিছু উপায়-

  • শিশুকে খেলতে যাওয়ার আগে  হোমওয়ার্ক করতে দিতে পারেন। এর ফলে সে খেলার আগে কাজকে গুরুত্ব দিতে শিখবে।
  • পরিবারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শিশুর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন। তার দায়িত্বগুলো বুঝে নেয়ার জন্য তাকে ধীরে ধীরে তৈরি করুন।
  •  শিশুকে নিজ হাতে খেতে দিন। এতে করে সে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে। তাকে খাবার অপচয় থেকেও বিরত থাকতে শেখান।
  •  শিশুকে অন্য কারও সঙ্গে তুলনা করবেন না। এতে  শিশুরা হীনমন্যতায় ভোগে। নিজেকে অপরাধী ভাবতে শুরু করে। নিজের গুরুত্ব দিতে শেখে না।
  •  শিশুকে কিছু  কিছু কাজ নিজে করার জন্য দিন। যেমন- নিজের ঘর, বিছানা, কাপড়, বইখাতা  খেলনা ইত্যাদি গোছাতে দিতে পারেন। এতে তার নিজের কাজ নিজে করার অভ্যাস গড়ে উটবে।
  • সন্তানের সবকিছুতে ভুল ধরবেন না। এতে সে কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে। তাকে নিজের মতো করে কাজ করার সুযোগ দিন।
  • শিশুকে নির্দিষ্ট কিছু কাজের নির্দেশ দিয়ে কাজটা তার ওপরে ছেড়ে দিন। তাকে তার মতো গুছিয়ে কাজ করতে দিন। কাজ শেষ করতে সময় বেশি লাগলেও চিন্তার কিছু নেই।
  •  বাইরে খেতে গেলে সন্তানের পছন্দের খাবার অর্ডার করতে পারেন। এতে সে নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দিতে শিখবে। তবে অস্বাস্থ্যকর কোনো খাবার খেতে চাইলে নিষেধ করুন।
  •  শিশুদের গল্প বলতে উৎসাহিত করুন। ইউনিভার্সিটি অব রচেস্টার মেডিকেল সেন্টারের মতে, গল্প বলা মানসিক চাপ কমায়, উদ্বেগ এবং বিষন্নতা দূর করতে সাহায্য করে।
  • শিশুদের গল্পের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • শিশুদের সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে ১২ জুন থেকে

Print Friendly, PDF & Email

কোন মন্তব্য নেই

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Exit mobile version