কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ জনে। আহত ও দগ্ধ হয়েছে আরো চার শতাধিক। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আল-জাজিরা, বিবিসি, ওয়াশিংটন পোস্ট, এনডিটিভি, ডয়চে ভেলেসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেছে ঘটনাটি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রাম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের একটি কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ গঠেছে। এতে দগ্ধ ও নিহতদের সংখ্যা প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে।
কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে লাশের সারি দীর্ঘ হচ্ছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোেতে এখন পর্যন্ত নিহতের মধ্যে ১৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। কারও মরদেহ আবার এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে, তা শনাক্ত করার কোন উপায় নেই।
আল-জাজিরা গুরুত্ব দিয়ে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডের খবর প্রকাশ করেছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমিশিম খাচ্ছে দেশটির (বাংলাদেশ) দমকল বাহিনী। এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রাম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের একটি কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লেগেছে। এতে দগ্ধ ও নিহতদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের একটি বন্দর শহরের কাছে কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বহু প্রাণহানি হয়েছে। এখন পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছে দমকল বাহিনী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের চট্টগ্রামে কন্টেইনার ডিপোতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে যোগ দিয়েছে দমকল বাহিনীর পাশাপাশি যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী।
সীতাকুণ্ডে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন জানান, অগ্নিকা-ের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা এখন ৪৫ জন দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২০০ জনের মতো। ঘটনাস্থলে যৌথভাবে কাজ করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, সীতাকু- উপজেলা প্রশাসন, র্যাব, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, সিপিপি ও স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা।
আরও পড়ুন: জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা হচ্ছে না