১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঘটমান সংবাদ এ স্বাগতম।  সাথেই থাকুন।
হোমদেশচট্টগ্রামপদ্মা সেতু দেখা হলো না আর, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিন বন্ধু

পদ্মা সেতু দেখা হলো না আর, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিন বন্ধু

তিন বন্ধুর পদ্মা সেতু আর দেখা হলো না, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ঐ তিন বন্ধু। মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে আরও তিন জনের প্রাণ। পদ্মা সেতু দেখতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন চাঁদপুরের তিন যুবক। বৃহস্পতিবার (২ জুন) দিনগত রাত পৌঁনে একটার দিকে মুন্সিগঞ্জের নিমতলি হাসারা হাইওয়েতে কাভার্ড ভ্যান ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে মোট ৬ জন নিহত হয়েছেন।

যারা নিহত হলেন তারা হলেন- সদর উপজেলার ইচলি এলাকার কলমতর গাজী বাড়ি এনায়েত উল্লাহ গাজীর একমাত্র ছেলে সামাদ গাজী (২৪), পল্লী বিদুৎ এলাকার আবুল কালামের ছেলে আহাদ (২০) ও একই এলাকার সিফাত (২০)। নিহতদের মধ্যে বাকি তিন জনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর।

সামাদের  ভাই মো. রুবেল বলেন, পদ্মা সেতু দেখার উদ্দেশ্য নিয়ে তারা ৩ বন্ধু প্রথমে চাঁদপুর থেকে ঢাকায় যান। সেখান থেকে মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুর এলাকায় তারা আরও দুই বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে মাওয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় তাদের সঙ্গে দুই বন্ধুর একজন উপস্থিত ছিলেন। রাতে বন্ধুদের বাসায় থেকে শুক্রবার পদ্মা সেতু দেখা ছিল তাদের পরিকল্পনায়। পদ্মা সেতু দেখার শখ তাদের জীবনে কাল হয়ে দাঁড়াল। তাদের আর বাড়ি ফেরা হলো না।

৪ বন্ধু মিলে রাতে সিএনজি অটোরিকশায় করে যাচ্ছিলেন। সিএনজিটি একটি  কাভার্ড ভ্যানের পেছন পেছন  যাচ্ছিল। পথে মুন্সিগঞ্জের নিমতলি হাসারা হাইওয়েতে কাভার্ডভ্যানটি গতি কমালে অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন দিক থেকে আঘাত করে। এসময় অটোরিকশায় থাকা পাঁচ যাত্রী ও চালক সবাই ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ৩ জন হলেন চাঁদপুরের আরেকজন হলেন বিক্রমপুরের। অপর একজন সাধারণ যাত্রী। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পুলিশের কাছে আবেদন করে নিয়ে আসা হয়েছে।

নিহত সামাদ গাজীর বন্ধু রাব্বি জানান, বৃহস্পতিবার বন্ধুরা ঘুরতে যাবে বলে আমাকে জানিয়েছিল এবং আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল আমি যাব কিনা। প্রথমে আমি যাব বলেছিলাম, কিন্তু শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় আমি যেতে পারিনি। এরমধ্যে তাদের সঙ্গে আমার কয়েকবার ইমোতে কথা হয়েছে। কিন্তু সর্বশেষ রাতে এই দুর্ঘটনার খবর পাই।

এদিকে শুক্রবার দুপুরে নিহতদের মরদেহ চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলায় গ্রামের বাড়ি ইচলিতে এবং মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরে নিয়ে আসার পর পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে উঠে এবং গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।

আরও পড়ুন: ভিটামিন-ডি খাচ্ছেন? স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়াচ্ছেন নাতো?

Print Friendly, PDF & Email

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

সর্বশেষ খবর

Recent Comments