ইউএস চেম্বার অফ কমার্স বলেছে, বাংলাদেশী স্টার্টআপগুলোকে সহযোগিতা করবে ইউএস চেম্বার অফ কমার্স। মার্কিন বেসরকারি খাত এবং বাংলাদেশী স্টার্টআপগুলোর মধ্যে সহযোগিতা নতুন প্রজন্মের ইউএস-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে।
চেম্বারের ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন নির্বাহী প্রতিনিধিদল গত ৮ মে থেকে ১১ মে পর্যন্ত চার দিনের ঢাকা সফর শেষ করার পর এ অভিমত ব্যক্ত করেছে। এখানে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়।
কার্যনির্বাহী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন কাউন্সিলের বোর্ড চেয়ার ও শেভরনের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ব্যবসা উন্নয়ন) জে আর প্রাইওর।
প্রতিনিধিদলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ব্যবসা-বাণিজ্য, পররাষ্ট্র, অর্থ, জ্বালানি, ডিজিটাল অর্থনীতি, পানি এবং টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক বাংলাদেশ সরকারের সিনিয়র সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
সফরকালে প্রতিনিধিদল অর্থায়ন লাভের সুযোগ, এঞ্জেল বিনিয়োগ, উদীয়মান অর্থনীতির বিভিন্ন দিকের ধারণা, নতুন পণ্য ও পরিষেবা তৈরির জন্য নিরাপদ প্ল্যাটফর্মের সুবিধা প্রদান এবং বেসরকারী খাতের সাথে যৌথভাবে অংশীদারিত্বের বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে।
ইউএস-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন এবং এই অংশীদারিত্ব-নির্মাণে প্রতিনিধিদলের গুরুত্ব সম্পর্কে জে আর প্রাইওর বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে উৎপাদনশীল, ভবিষ্যত সম্ভাবনাময় এবং গঠনমূলক সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কোম্পানিগুলোর জন্য বাংলাদেশে কাজ করার জন্য অপরিহার্য এবং আগামী ৫০ বছরের অংশীদারিত্বের জন্য একটি ‘বিনিয়োগ ও বাণিজ্যমুখী মঞ্চ তৈরি করবে।
কাউন্সিল বাণিজ্য ও বিনিয়োগ জোরদার করতে, স্বচ্ছতা বাড়াতে ও বাজার-ভিত্তিক সংস্কার অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কাজ করবে যাতে আগামী কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের মানুষের জন্য বিভিন্ন সুযোগ ও সমৃদ্ধি গড়ে তুলতে পারে।
ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের ডিরেক্টর সিদ্ধান্ত মেহরা বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে এই প্রতিনিধিদলের সফর বাংলাদেশের সাথে মার্কিন শিল্পের শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। আমরা বাংলাদেশী জনগণের উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
কাউন্সিল দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সহায়তা এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে কাজ করবে যা স্বচ্ছতা, সম্ভাব্য ও পরামর্শমূলক নীতি তৈরি এবং বাংলাদেশে মার্কিন কোম্পানিগুলির জন্য সম্প্রসারিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগকে উৎসাহিত করবে।
প্রতিনিধিদল এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টারে ৩০টিরও বেশি বাংলাদেশী স্টার্টআপ এবং অংশীদারদের সাথে বৈঠক করে তাদের সফর শেষ করেছে। মার্কিন কোম্পানিগুলোর লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশী স্টার্টআপগুলোকে সহযোগিতা করা এবং বাংলাদেশের মেধাবী তরুণ ও উদ্যোক্তাদের সাথে ভালভাবে সংযুক্ত হওয়া যারা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত অর্থনীতিতে উত্তরণে সহায়তা করার লক্ষ্যে ফিনটেক, কৃষি, পানি, খাদ্য নিরাপত্তা, পেশাগত সেবার ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক সমাধান তৈরি করছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় নভেম্বরে ৩৭তম আইএএফ ওয়ার্ল্ড ফ্যাশন কনভেনশন ও মেইড ইন বাংলাদেশ উইক