হোম জাতীয় এসএসসি, এইচএসসি এবং পঞ্চম শ্রেণি ব্যতীত অন্য শিক্ষার্থীদের ক্লাস সপ্তাহে একদিন

এসএসসি, এইচএসসি এবং পঞ্চম শ্রেণি ব্যতীত অন্য শিক্ষার্থীদের ক্লাস সপ্তাহে একদিন

এসএসসি, এইচএসসি এবং পঞ্চম শ্রেণি ব্যতীত অন্য শিক্ষার্থীদের একদিন ক্লাস

চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে হবে। অন্যদিকে, প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসে ক্লাস করার নির্দেশনা রয়েছে।

আজ রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।



তিনি বলেন, চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থী এবং ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রতিদিন শ্রেণিকক্ষে আসবে। এছাড়া পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও রোজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবে। অন্যদিকে, প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসে ক্লাস করতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ইতোমধ্যেই প্রস্তুত হয়েছে। তারা প্রতিদিন ক্লাস করলে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়ে যাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে জেএসসি, জেডিসি, পিইসি পরীক্ষাসহ বার্ষিক পরীক্ষাও সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।



তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রাখতে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক এবং প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা প্রতিদিন  তাদের পর্যবেক্ষণ করবেন। এ জন্য একটি সার্ভিলেন্স টিম কাজ করবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের আগে তৃণমূল  বা মাঠ পর্যায়ের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরু করার আগে তা সম্পূর্ণ তৈরি আছে কি না তা মনিটরিং করা সম্পন্ন হবে। কোন প্রতিষ্ঠানে কোভিড-১৯ সংক্রামণের ঝুঁকি থাকলে স্থানীয় পর্যায়ে তার অবস্থান বিবেচনায় তা বন্ধ করার ঘোষণাও থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।



তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার শুরুতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মনিটরিং করা হবে। আগত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সামাজিক দূরত্ব মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করার নির্দেশনা রয়েছে। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আপাতত কোন অ্যাসেম্বলী হবে না। কিন্তু শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থ্যতার কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের খেলাধূলা বা ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটিজ চলবে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দৈনিক চার থেকে পাঁচঘন্টা ক্লাস নেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে এর সময়সীমা বাড়তে পারে। এছাড়া প্রতিদিন প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে চেকলিষ্ট পূরণ করে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।



উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস অতিমারীর কারণে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় গতবছরের ১৭ মার্চ থেকে কয়েক দফায় সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। প্রায় সতেরো মাস পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর এবং সেদিন থেকেই ক্লাস শুরু।

Print Friendly, PDF & Email

কোন মন্তব্য নেই

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Exit mobile version