২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

ঘটমান সংবাদ এ স্বাগতম।  সাথেই থাকুন।
হোমখেলাক্রিকেটটি-টুয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই প্রথম জয় চায় বাংলাদেশ

টি-টুয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই প্রথম জয় চায় বাংলাদেশ

আগামীকাল থেকে পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ শুরু করছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টিতে প্রথম জয়ের সেরা সুযোগ হিসেবে দেখছে আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় শুরু হবে ম্যাচটি। সরাসরি দেখাবে গাজী টিভিটি-স্পোটর্স



এখন পর্যন্ত টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে ১০বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। সবগুলোই হেরেছে টাইগাররা। এরমধ্যে ঘরের মাঠে ২০০৩ সালের একমাত্র ম্যাচের সিরিজের হারও আছে। তবে ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো পারফরমেন্স রয়েছে টাইগারদের। এবার তাদের টি-টুয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম জয় চায় বাংলাদেশ। এবং তা প্রথম ম্যাচেই পেতে চায় তারা।

ঘরের মাঠে ওয়ানডে ফরম্যাটে ২০১০ সালে চার ম্যাচের সিরিজ ও ২০১৩ সালে তিন ম্যাচের সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিলো বাংলাদেশ। ওয়ানডের মত ফল, টি-২০ ক্রিকেটেও এমন সুযোগ এখন বাংলাদেশের সামনে। ২০১৩ সালের পর প্রথমবারের মত বাংলাদেশ সফরে নিউজিল্যান্ড।



২০১৩ সালের পর কিউইদের প্রথম  বাংলাদেশ সফর হলেও, এরমধ্যেই তিনবার নিউজিল্যান্ড সফর করেছে টাইগাররা। মূলত সীমিত ওভারের সিরিজই খেলেছে তারা। এ বছর তিনটি করে ওয়ানডে ও তিনটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে দুই দল। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করতে পেরেছ বাংলাদেশ। তবে নিজেদের ডেরায় এখনো অপরাজিত নিউজিল্যান্ড।

সদ্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজে  এটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম জয়ের স্বাদ। সঙ্গত কারণেই  নিজেদের সর্বশেষ দুই সিরিজ জয়ের কারণে বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। এই দুই সিরিজের ফল ইঙ্গিত দিচ্ছে, এই ফরম্যাটে দুর্বল থেকে ভালো দল হবার পথে বাংলাদেশ।

টি-২০ ক্রিকেটে ১০৭টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। জয় ৩৮টি ম্যাচে। ৬৭টি ম্যাচে হেরেছে তারা। আর দু’টি ম্যাচের ফল হয়নি।



মন্থর, নীচু  ও বিশ্বের যেকোন  দেশের চেয়ে ভিন্ন কন্ডিশনের পরও ফেভারিট বাংলাদেশ। যা এ মাসের শুরুর দিকে বুঝতে পেরেছে  নিউজিল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রেলিয়া। এবার নিউজিল্যান্ডের পালা।

মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস দলে ফেরায় উজ্জীবিত হয়েছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের মত উইকেট কঠিন হলেও, তাদের উপস্থিতি দলের ব্যাটিং লাইন-আপকে আলাদাভাবে সাহস যোগাবে। টি-টুয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম জয় পেতে তাদের দলে ফেরাটা পুরো দলকে আলাদা আত্মবিশ্বাস যোগাবে।

বাংলাদেশ সফরে থাকা নিউজিল্যান্ডের কোন খেলোয়াড় টি-২০ বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পায়নি। দলের শীর্ষ তারকাদের বিশ্রাম দেয়ার সিদ্বান্ত নিয়েছে নিউজিল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট। এমনকি শীর্ষ তারকারা নিউজিল্যান্ড দলে থাকলেও অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মত পিচ হলে অবশ্যই কঠিন সময়ের সম্মুখীন হতে হতো। তবে এই ধরনের উইকেট বাংলাদেশকে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে পিছিয়ে দিবে বলে দেশের ক্রিকেটপ্রেমি ও বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সমালোচনা শুনতে হয়েছে।



অবশ্য নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য বাংলাদেশ ভাল উইকেট চাইলেও  আবহাওয়ার কারণে সেটি  প্রায় অসম্ভব।

বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বলেন, “আমি ভালো উইকেটের আশায় আছি। বছরের এই সময় আর্দ্রতা এবং বৃষ্টি থাকলেও, খুব বেশি রোদ নেই। বছরের বিভিন্ন সময়ে এ ধরনের কন্ডিশন  পাওয়া কঠিন হতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা ব্যাটিং লাইন-আপ এবং ভাল উইকেটে ব্যাটিংয়ের আত্মবিশ্বাসের গুরুত্ব জানি। আমরা জয় এবং আত্মবিশ্বাস অর্জনের গুরুত্বও বুঝতে পারি। আমি একটি ভাল, স্বাভাবিক মিরপুর উইকেট ধরে নিচ্ছি, যেখানে ১৫০-১৬০ একটি ভাল স্কোর।”



ডোমিঙ্গো পরিষ্কার করেছেন, প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন, সিরিজ জয়ই প্রাধান্য পাবে। তিনি বলেন, “যে কোনো সিরিজ জয়ই বড়। আমি মনে করি ৫০ ওভারের ফরম্যাটে শ্রীলংকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় ছিল দুর্দান্ত অর্জন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ফরম্যাটেই জয় ছিলো। আমি একটির তুলনায় আরেক সিরিজকে  এগিয়ে রাখাটা  পছন্দ করিনা। প্রতিটি সিরিজ জয় দলের জন্য বিশেষ।”

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যবহৃত  উইকেট  নিয়ে অস্বস্তি গোপন করেননি নিউজিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত কোচ গ্লেন পকনাল। যদিও এখানে আরও ভালো করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী  তিনি। একই সাথে এটাও স্পষ্ট করেন যে, কিছু গতি এবং বাউন্স দলের জন্য সহায়ক হতে পারে।



পকনাল বলেন, “এটা খুব কঠিন। আমরা মনে করি, তারা কীভাবে খেলবে সেটি ধারনা নেয়া এবং সদ্য শেষ হওয়া অস্ট্রেলিয়া সিরিজের উপর ভিত্তি করে খেলবে, কিন্তু ইতিহাস বলছে, তারা ভিন্নভাবে খেলেছে। সব দিক দিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে, আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আমরা সম্ভবত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের মতো ধীর এবং নিচু উইকেটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে আমরা এতে অভ্যস্ত নই। তবে যদি এটির গতি এবং বাউন্স একটু বেশি থাকে, আমরা এতে বেশ খুশি হবো।”

বাংলাদেশ দল :
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আফিফ হোসেন, নাইম শেখ, নুরুল হাসান সোহান, শামিম হোসেন পাটোয়ারী, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, শেখ মাহেদি হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও নাসুম আহমেদ।

নিউজিল্যান্ড দল :
টম লাথাম (উইকেটরক্ষক ও অধিনায়ক), ম্যাট হেনরি, হামিশ বেনেট, টম ব্লান্ডেল (উইকেটরক্ষক), ডগ ব্রেসওয়েল, কলিন ডি গ্রান্ডহোম, জ্যাকব ডাফি, ম্যাট হেনরি (ওয়ানডে), স্কট কুগেলেইন, কোল ম্যাককঞ্চি, হেনরি নিকোলস, আজাজ প্যাটেল, রাচিন রবীন্দ্র, বেন সিয়ার্স (টি-টোয়েন্টি), ব্লেয়ার টিকনার ও উইল ইয়ং।




আরও পড়ুন :

Print Friendly, PDF & Email

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

সর্বশেষ খবর

Recent Comments