২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঘটমান সংবাদ এ স্বাগতম।  সাথেই থাকুন।
হোমএক্সক্লুসিভএবার মূত্রত্যাগের উপর জরিমানার বিধান

এবার মূত্রত্যাগের উপর জরিমানার বিধান

প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলেও এবার থেকে সাবধান! কারণ, শহরের রাস্তাঘাটে বা উন্মুক্ত কোন জায়গায় শৌচকর্ম এমনকি মূত্রত্যাগ করতে গিয়ে ধরা পড়লেই জরিমানা গুনতে হবে ৫০০ টাকা। হ্যা ঠিকই শুনছেন! কলকাতায় যত্রতত্র মল মূত্রত্যাগের উপর এবার এমনই জরিমানার বিধান করা হয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা

তারা জানায় খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে মাইকে প্রচার শুরু করতে চলেছে কলকাতা প্রশাসন। বস্তি উন্নয়ন দফতরের কর্মী ও কর্মকর্তারা একাধিক দলে ভাগ হয়ে এবার মল মূত্রত্যাগের উপর যে জরিমানার বিধান করা হয়েছে তা বাস্তবায়নে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামবেন।



ওই দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য স্বপন সমাদ্দার বলেন, “খোলা জায়গায় প্রস্রাব করলে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে। প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা শহর জুড়ে এর বিরুদ্ধে অভিযানে নামব।”

শহরের সমস্ত উন্মুক্ত শৌচালয় ভেঙ্গে দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, ১০১ থেকে ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সংযুক্ত এলাকায় বহু উন্মুক্ত শৌচালয় রয়েছে। সেগুলি থেকে ছড়াচ্ছে দূষণ। স্বপনবাবুর কথায়, “উন্মুক্ত শৌচালয় ভেঙে দিয়ে নতুন স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার তৈরি করব। এর ফলে পরিবেশও বাঁচবে।”

একটি সমীক্ষায় জানা গেছে, এ শহরে প্রায় চার লক্ষ মানুষ ফুটপাতে থাকেন। বস্তি উন্নয়ন দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, “রাস্তাঘাট পরিচ্ছন্ন রাখতে ফুটপাতবাসীদের সতর্ক করার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।” ওই দফতর সূত্রের খবর, বস্তি ও ফুটপাতের বাসিন্দাদের জন্য বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু শৌচালয় তৈরি করা হবে।



শহরের কোনও বস্তি এলাকাতেও উন্মুক্ত শৌচালয় রাখা হবে না। সেখানে স্বাস্থ্যসম্মত নতুন শৌচালয় গড়া হবে। বস্তি উন্নয়ন দফতরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “মধ্য কলকাতার অনেক এলাকাতেও রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় মানুষ অবাধে প্রস্রাব করেন। যেমন, ধর্মতলার টিপু সুলতান মসজিদ থেকে ম্যাডান স্ট্রিট পর্যন্ত রাস্তায় পথচারীরা দুর্গন্ধে হাঁটতে পারেন না।”

পুরসভার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেও ৫০০ টাকা জরিমানার ভয়ে খোলা জায়গায় প্রস্রাব করা বন্ধ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। পাশাপাশি, গঙ্গার দূষণ নিয়েও চিন্তিত তিনি। সুভাষবাবু বলেন, “মেটিয়াবুরুজ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত গঙ্গাপাড়ের মধ্যে কেবল বাজেকদমতলা ঘাট থেকে মিলেনিয়াম ঘাট পর্যন্ত অংশের সংস্কার হয়েছে। বাকি অংশে মানুষ যত্রতত্র মল-মূত্র ত্যাগ করায় গঙ্গা দূষিত হচ্ছে। গঙ্গার ধারে বেশি করে শৌচালয় তৈরি করলে গঙ্গাও বাঁচবে।” তাঁর পর্যবেক্ষণ, “ফুটপাতবাসীদের ৫০০ টাকা জরিমানা দেওয়ার ক্ষমতা নেই। তাদের জন্য আরও বেশি করে শৌচাগার তৈরি করা হোক।”




আরও পড়ুন :

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১ এর ফিক্সচার

নিউজিল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর ২০২১ : বাংলাদেশ দল ঘোষণা

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ব্যবহারিক খাতা জমাদানের নির্দেশনা

Print Friendly, PDF & Email

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

সর্বশেষ খবর

Recent Comments