৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ঘটমান সংবাদ এ স্বাগতম।  সাথেই থাকুন।
হোমরাজনীতিআওয়ামী লীগবঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রদর্শিত হবে নিউইয়র্ক সিটির টাইমস স্কয়ারে

বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রদর্শিত হবে নিউইয়র্ক সিটির টাইমস স্কয়ারে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ কেন্দ্র ঐতিহাসিক টাইম স্কয়ারে আগামীকাল ১৫ আগস্ট ২০২১ তারিখ বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অডিও-ভিজুয়াল ক্লিপ প্রদর্শিত হবে। অডিও-ভিজুয়াল ক্লিপটিতে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সহ বিভিন্ন সময়ের স্মরণীয় মুহূর্তগুলো থাকবে।

বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে টাইমস স্কয়ারে বিশ্বখ্যাত বিশাল ‘বল ড্রপ' বিলবোর্ডে ২৪ ঘন্টায় প্রতি দুই মিনিট অন্তর অন্তর ৭২০ বার বঙ্গবন্ধুর ক্লিপটি দেখানো হবে।



অডিও-ভিজুয়াল ক্লিপটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণসহ বিভিন্ন সময়ের স্মরণীয় মুহূর্তগুলো থাকবে।

এর আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, “বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত-বার্ষিকী উপলক্ষ্যে চলমান আয়োজনের অংশ হিসেবে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সহ বিভিন্ন সময়ের স্মরণীয় মুহূর্তগুলো প্রদর্শনের এই উদ্যোগটি নেয়া হয়েছে।”

তিনি আরো জানান, “আমরা অনেক আগে থেকেই নিউইয়র্কের ঐতিহাসিক টাইমস স্কয়ার ও এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ে এমন একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করার জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছি। এখন আমরা সেই সুযোগ পেয়েছি।”

মন্ত্রী আরো বলেন, “টাইমস স্কয়ারের মতো স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্লিপগুলো বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সহায়ক হবে।”

মোমেন বলেন, “টাইমস স্কয়ারে বিশাল ডিজিটাল বিলবোর্ডে এই ক্লিপটির পাশাপাশি জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ১৫ আগস্টের উপর একটি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে।”

এক্সিম ব্যাংক ও আনোয়ার গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় ফাহিম নামে একজন প্রবাসী বাংলাদেশী তার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নিউইয়র্ক ড্রিম প্রোডাকশনের মাধ্যমে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান স্বাধীনতার রূপকার। ১৯৪৮ সালে ভাষার দাবিতে গঠিত সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বসহ ১৯৫২ এর মহান ভাষা আন্দোলন, ’৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮ এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ’৬২ এর গণবিরোধী শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬ এর ৬-দফা, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও ’৭০ এর নির্বাচনসহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন। এজন্য তাঁকে বারবার কারাবরণ করতে হয়।



বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপসহীন। ফাঁসির মঞ্চেও তিনি বাংলা ও বাঙালির জয়গান গেয়েছেন। দীর্ঘ চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এই মহান নেতা ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”, যা ছিল মূলত স্বাধীনতারই ডাক।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং তাঁরই নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জাতি বিজয় অর্জন করে।  বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আজ অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে। ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তাঁর নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতার নাম এ দেশের লাখো-কোটি বাঙালির অন্তরে চির অমলিন, অক্ষয় হয়ে থাকবে।



একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

সর্বশেষ খবর

Recent Comments