প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে করোনা মহামারীকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত অস্ট্রেলিয় হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার আজ সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনা (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার সমাজের সর্বস্তরের জনগণ তথা স্থানীয় প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সকলকে কাজে লাগিয়ে সময়োচিত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হওয়ায় অস্ট্রেলিয় হাইকমিশনার বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
‘টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া থেকেও এগুনো’, অস্ট্রেলিয় হাইকমিশনারের এই বক্তব্যের উদ্ধৃতি দেন প্রেস সচিব।
জেরেমি ব্রুয়ার প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, অন্যান্য বিদেশী কূটনীতিকের সাথে তিনি নিজেও ঢাকাতে করোনা টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী এ দিনের বৈঠকেও রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে সফল প্রত্যাবাসনে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি।’
অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং সহযোগিতা জোরদার করার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয় হাইকমিশনার বলেন, তাঁরা অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরো জোরদারে আগ্রহী।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের সময় যে সকল দেশ বাংলাদেশকে আগে স্বীকৃতি দিয়েছে তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া অন্যতম।
অস্ট্রেলিয় হাইকমিশনার তাঁদের জাহাজযোগে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠেয় সমুদ্র যাত্রায় অংশগ্রহণের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
ব্রুয়ার প্রধানমন্ত্রীকে আরো অবহিত করেন যে, অস্ট্রেলিয় ক্রিকেট দল টি-২০ সিরিজ খেলতে এ বছর বাংলাদেশ সফর করবে, তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটেরও প্রশংসা করেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তাঁর ক্রিকেটের উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়া থেকে সাহায্য পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এসময় উপস্থিত ছিলেন।