পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের জন্য কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে সরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন আজ এখানে তার দফতরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এই মিথ্যা খবর প্রচারের জন্য আল জাজিরার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারি, আমরা এটি খতিয়ে দেখছি।’
আল জাজিরার রিপোর্টকে ‘চরম মিথ্যাচার’ আখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক, তাদের (আল জাজিরা) অবশ্যই (বাংলাদেশের কাছে) ক্ষমা চাইতে হবে।
রিপোর্টে মিথ্যা তথ্যের দৃষ্টান্ত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেতা থাকাকালে কাউকে দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োগ করেননি, অথচ আল জাজিরার প্রতিবেদনে দেখানো হয় এক ব্যক্তি মিথ্যা দাবি করছেন যে তিনি তাঁর দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করেছেন।
কাতার ভিত্তিক এই নিউজ মিডিয়া অনেক দেশে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ঢাকা আশা করছে তাদের সংবাদ প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে আল জাজিরা আরো দায়িত্বশীল হবে। তিনি বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং অগ্রগতি পছন্দ করে না। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এ দেশে আল জাজিরার সম্প্রচার স্থগিতের পক্ষে নয়।
লন্ডন ও অন্যান্য স্থানে কর্মরত সক্রিয় উগ্রপন্থী ও তাদের সহযোগীদের উসকানিতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টিার’স মেন’ শিরোনামে আল জাজিরা নিউজ চ্যানেলের গত সোমবার প্রচারিত সংবাদটি ভিত্তিহীন, মানহানিকর এবং বেপরোয়া ও নোংরা অপপ্রচার উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকার মঙ্গলবার এটি প্রত্যাখ্যান করছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “এই প্রতিবেদনটি এক গুচ্ছ বিভ্রান্তিকর শ্লেষ আর বক্রোক্তি ছাড়া আর কিছুই নয়, যা আসলে চরমপন্থী গোষ্ঠী জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু কুখ্যাত ব্যক্তির দ্বারা পরিচালিত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, ঢাকা দুঃখিত যে আল জাজিরা নিজেকে বাংলাদেশে অসামান্য আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির রেকর্ডধারী একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সরকারকে অস্থিতিশীল করার লক্ষে তাদের এ হীন রাজনৈতিক চক্রান্তের হাতিয়ারে পরিণত হতে দিয়েছে।
বাসস