হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী বুধবার দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলি অনুপ্রবেশ ঠেকানোর দাবি করেছে। আন্তঃসীমান্ত সহিংসতায় ইসরাইলের আট সৈন্য নিহত হয়েছে এবং সহিংসতা শুরুর পর থেকে এটিই ইসরাইলের বড়ো ধরনের ক্ষতির ঘটনা।
গত মঙ্গলবার ইসরাইলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর থেকে এ সহিংসতা তীব্র রূপ নেয়।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তেহরানকে কড়া হুঁশিয়ারী বার্তা দিয়ে বলেন, এই হামলার জন্য ইরানকে বড় মূল্য দিতে হবে।
এদিকে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান উপেক্ষা করে ইরান জানায়, ইসরাইল প্রতিশোধমূলক হামলা নিতে আসলে তাড়াও ছেড়ে দিবে না। তারা পাল্টা হামলা চালানোর জন্যে প্রস্তুত আছে। লেবাননে ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজারেরও বেশি।
উল্লেখ্য ইসরাইল গাজা থেকে বর্তমানে লেবানন সীমান্তের দিকে নজর দিয়েছে। হিজবুল্লাহর সাথে গত প্রায় এক বছরের গুলি বিনিময়ের কারণে হাজার হাজার ইসরাইলি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ কারণে ইসরাইল তার নাগরিকদের নিরাপদে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিতের চেষ্টা চালাচ্ছে।
দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলের সুনির্দিষ্ট স্থল অভিযানের ঘোষণার পরেরদিন ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধে প্রথম সৈন্যের প্রাণ হারানোর ঘোষণা দেয় তেলআবিব। এই আন্তঃসীমান্ত সহিংসতায় ইসরাইলের সৈন্য নিহত হওয়ার সংখ্যা বর্তমানে বেড়ে আট হয়েছে।
এদিকে হিজবুল্লাহ দাবি, মারুন আল রাস গ্রামের দিকে এগিয়ে আসা বিস্ফোরকসহ ইসরাইলের একটি ইউনিটকে তারা পিছু হটতে বাধ্য এবং রকেটসহ তিনটি মারকাভা ট্যাংক ধ্বংস করেছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইল হামাস যুদ্ধ শুরু হয়। এর পর হিজবুল্লাহ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সমর্থনে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে।
এদিকে গাজায় ইসরাইলের হামলায় এ পর্যন্ত ৪১ হাজার ৬৮৯ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানায়, গাজায় মঙ্গলবারের ইসরাইলি হামলায় ১৯ জন নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরেই শুকরিয়া আদায় করলেন আজহারী