এবার ইসরাইলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এবং ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এ কথা জানা গেছে।
ইসরাইলে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। এই হামলার পরেই ইরানকে হুঁশিয়ারি দিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইরানকে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফল ভুগতে হবে। অপরদিকে আমেরিকাও ইরানকে সতর্কবাণী দিয়েছে।
লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরাইলি অভিযানের পর সর্বশেষ এ ঘটনা ঘটেছে।
জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, কিছুক্ষণ আগে ইরান থেকে ইসরাইলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
এএফপি সাংবাদিকরা জানান, জেরুজালেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনার সাথে সাথে ইসরাইল জুড়ে সাইরেন বেজে ওঠে।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা বলেছে যে, এবার ইরান ইসরাইলের বাণিজ্যিক কেন্দ্র তেল আবিবের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কোর জানায়, গত সপ্তাহে ইসরাইলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নসরুল্লাহকে হত্যা এবং তেহরানে বোমা হামলায় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ হত্যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
এএফপি থেকে জানা যায়, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পূর্ব দিক থেকে ইসরাইলের দিকে যাওয়ার সময় জর্দানের রাজধানী আম্মানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইসরাইলের মিত্ররা তাদের বাধা দিতে চেয়েছে।
মঙ্গলবার ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানায়, সৈন্যরা ইসরাইলের উত্তর সীমান্ত জুড়ে দক্ষিণ লেবাননে ‘সুনির্দিষ্ট স্থল অভিযান’ শুরু করেছে। তবে কর্মকর্তারা অভিযানের মাত্রা বা এর সময়সীমার বিস্তারিত বিবরণ দেননি।
লেবাননে ইসরাইলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর শক্তিশালী নেতা হাসান নসরুল্লাহসহ কয়েকশ লোক নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান সত্ত্বেও ইসরাইল লেবাননে স্থল আক্রমণ শুরু করে।
ইরান জানায়, নসরুল্লাহকে হত্যা ইসরাইলের ধ্বংস ডেকে আনবে। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তেহরান ইসরাইলের মোকাবেলায় কোনো সেনা মোতায়েন করবে না।
ইরান হামলা করার পরে মঙ্গলবার রাতেই মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর থেকে জানা যায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের বলেন, ইরান হামলা করে ঠিক কাজ করেনি। এর ফল ভুগতে হবে তাদের।
ইসরাইলি সেনা জানায়, মঙ্গলবার ইরান পর পর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তবে সেই হামলা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতির কথা জানায়নি ইসরাইল।
অপরদিকে আমেরিকা ইরানের হামলার বিষয়ে নিন্দা করে ইসরাইলের পাশে দাঁড়াল। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, ইসরাইলকে সম্পূর্ণ সমর্থন করা হবে। আমেরিকা সেনা সাহায্য করবে ইসরাইলকে।
অপরদিকে ইরানও থেমে নেই। নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারির পর ইরানি সেনা জবাবে জানায়, ইসরাইল যদি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নিতে চায়, তবে পাল্টা আক্রমণ করা হবে।
আরও পড়ুন : ইসরাইলের স্থল অভিযান শুরু হিজবুল্লাহ’র বিরুদ্ধে