৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ঘটমান সংবাদ এ স্বাগতম।  সাথেই থাকুন।
হোমলাইফস্বাস্থ্যআজ বিশ্ব হার্ট দিবস

আজ বিশ্ব হার্ট দিবস

আজ বিশ্ব হার্ট দিবস। প্রতি বছর ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গুরুত্ব সহকারে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “ইয়েস, ইউজ হার্ট ফর অ্যাকশন”  অর্থাৎ হৃদয় দিয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রতি বছর বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশ মৃত্যু সংঘটিত হয় অসংক্রামক রোগের কারণে।

সরকারি টাকায় হজ করা বিলাসিতা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

সারাবিশ্বে প্রতি বছর দেড় কোটি মানুষ মারা যায় হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, শ্বাস রোগের মতো অসংক্রামক রোগের কারণে। এই মৃত্যুর ৮৫ শতাংশই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটে। বাংলাদেশও এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

অসংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হৃদরোগ। এই রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল এবং ঢাকার বাইরে সরকারিভাবে শুধু একটি মেডিক্যাল কলেজ এবং বেসরকারিভাবে চারটি হাসপাতালে কার্ডিয়াক সার্জারির ব্যবস্থা রয়েছে।

রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায়। তবে ঢাকা বাদে বাকি ছয় জেলায় হৃদরোগ চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি প্রায় সময় নষ্ট থাকে। ফলে ব্যয়বহুল সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে প্রতিবছর দুই লাখ ৭৩ হাজার মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

আজ বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারিভাবে আলোচনা সভা, র‌্যালি ও বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালিত হবে।

জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিউট হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিভাগের সূত্র মতে, ২০২০ সালে ১ হাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে ৯৫ হাজার ২৪ জন ও বহির্বিভাগে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৯৬ রোগী চিকিৎসা নেন। ২০২১ সালে এই সংখ্যা বেড়ে জরুরি বিভাগে ১ লাখ ১৫ হাজার একজন এবং বহির্বিভাগে ১ লাখ ৫০ হাজার  ৪৯৯ জন। পরের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে রোগী আরও বেড়ে জরুরি বিভাগে ১ লাখ ৩১ হাজার ৯০৩ জন এবং বহির্বিভাগে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৮ জন।

ভারতে ইলিশ রপ্তানি অনুমোদন : দুর্গাপূজায় পাঠাবে ৩ হাজার টন

বাংলাদেশে তরুণদের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন হৃদরোগের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বয়স, উচ্চ রক্তচাপ , উচ্চ কোলেস্টোরেলের মাত্রা, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, মানসিক চাপ হার্ট অ্যাটাকের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত।

চিকিৎসকদের মতামত হচ্ছে, প্রতিদিন খাবারের সাথে এক চামচ পরিমাণ লবণ গ্রহণ করা যাবে। তবে এর বেশি শরীরের জন্য ক্ষতিকির। বাসার তৈরি খাবারের পাশাপাশি প্যাকেটজাত খাবারেও ঝুঁকি রয়েছে। গবেষকরা এসব খাবারে নিরাপদ মাত্রার চেয়ে বেশি লবণ পেয়েছে।

আরও পড়ুন: বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান নাসরুল্লাহকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

- Advertisment -

সর্বশেষ খবর

Recent Comments

Mastodon Mastodon