উজানের ঢল এবং পরপর দুদিনের বৃষ্টিতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ পানির চাপ কমাতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে।
শনিবারের (২৮ সেপ্টেম্বর) মধ্যে পানি আরো দ্রুত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এভাবে পানি বাড়তে থাকলে নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও রংপুরের চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে হঠাৎ ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলেও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।
এতে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও আত্রাইয়ের পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এসব নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র হতে জানা যায়, শনিবার থেকে তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। আগামী চার–পাঁচ দিন পর উত্তরাঞ্চলের নদ – নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
ইতোমধ্যে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলগুলোর ঘরবাড়ি ও ফসলের জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে। নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসরত মানুষ বন্যা ও নদীভাঙনের আতঙ্কে রয়েছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ ২২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ জেলায় শুক্রবার ১০০ থেকে ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা বিভাগেও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় শুক্রবার বেলা তিনটা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৭০ মিলিমিটার।
আরও পড়ুন:
আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কারা?
সমকামিতার প্রমোটকারীদের বিরুদ্ধে মামুনুল হকের হুঁশিয়ারি