২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ঘটমান সংবাদ এ স্বাগতম।  সাথেই থাকুন।
হোমজাতীয়আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী

আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী

আগামীকাল ২৮ সেপ্টেম্বর ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস’ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বাণী প্রদান করেছেন। রাষ্ট্রপতির বাণী নিম্নে প্রকাশ করা হলো:

‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস’ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী

আগামীকাল ২৮ সেপ্টেম্বর ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস’ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বাণী প্রদান করেছেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন

“তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতকরণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস-২০২৪’ উদ্‌যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।

তথ্য জানা ও প্রাপ্তি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। তথ্য মানুষকে সচেতন করে ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ নং অনুচ্ছেদে জনগণের চিন্তা, বিবেক ও বাক্‌স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও জনগণের তথ্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রণীত হয়েছে ‘তথ্য অধিকার আইন-২০০৯’ যা জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকারকে আইনি ভিত্তি প্রদান করে। আমি মনে করি, এ আইনের মাধ্যমে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ এবং সরকারি ও বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়েছে।

জনগণের ক্ষমতায়ন, সরকারি দপ্তরে স্বচ্ছতা-জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জনগণের তথ্যের অধিকার নিশ্চিতকরণের বিকল্প নেই। তথ্যের অবাধ, সঠিক ও সময়োচিত প্রকাশ একদিকে যেমন জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে; অন্যদিকে সুশাসন নিশ্চিত হবে, জনগণ ও রাষ্ট্রের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক সমুন্নত থাকবে। সমাজ ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর জনগণের ক্ষমতায়নকে সুদৃঢ় করার মাধ্যমে নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তথ্যের অবাধ প্রবাহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ প্রেক্ষিতে UNESCO নির্ধারিত আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসের এবছরের প্রতিপাদ্য- ‘Mainstreaming Access to Information and Participation in the Public Sector’ (রাষ্ট্রের মূলধারায় তথ্য অধিকারের সংযুক্তি এবং সরকারি খাতের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ) যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

তথ্য অধিকার আইনের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তথ্য কমিশনসহ সরকারি-বেসরকারি সকল দপ্তর ও সংস্থাকে আরো উদ্যোগী মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য জনগণকে তথ্যের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট-মিডিয়া, নাগরিক সমাজসহ সকলের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর জনগণের ক্ষমতায়ন সুদৃঢ় হবে।

আমি ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করি।

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

সাকিবের অবসর ঘোষণা : খেলবেন না টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি

সমকামিতার প্রমোটকারীদের বিরুদ্ধে মামুনুল হকের হুঁশিয়ারি

- Advertisment -

সর্বশেষ খবর

Recent Comments