২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ঘটমান সংবাদ এ স্বাগতম।  সাথেই থাকুন।
হোমরাজনীতিআগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কারা?

আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কারা?

আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কারা? বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর সাথে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড়াতে যাচ্ছে কি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন?

গত ৫ই আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তিত ও নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ মাঠে নেই। মাঠ চষে বেড়াচ্ছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোন রাজনৈতিক দল না হলেও সামনে তারা রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফসল হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেক চিন্তাধারার সাথে একমত হতে পারছে না।

এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা

এসব কারণে অনেকের মনে প্রশ্ন আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী কারা হতে পারে? জামায়াত নাকি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন?

বিএনপি অতিদ্রুত অথবা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন চায়। অপরদিকে নির্বাচন নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর কোন আগ্রহ নেই। তারা বর্তমানে দল গোছানোর কাজে সময় দিচ্ছে। নির্বাচনের আগে তারা যত বেশি সময় পাবে তত ভালোভাবে দল গোছাতে পারবে।

অপরদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বেশ কয়েকবার দল গঠনের কথা বললেও পরবর্তীতে তারা অস্বীকার করে। কিন্তু তারা জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করে এবং সারা বাংলাদেশে নাগরিক কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ শুরু করে। যদিও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বলছেন, এখনই নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের কোনো চিন্তা তাদের নেই।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, রাজনীতির মাঠে এক সময় যারা পরস্পরের মিত্র হিসেবে পরিচিত ছিল পরবর্তীতে তারাই শত্রু হিসেবে দাড়িয়েছে।

নব্বই দশকে এরশাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আন্দোলন করলেও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির সাথে হাত মেলাতে দ্বিধা করেনি।

অপরদিকে ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে জামায়াতে ইসলামী বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করলেও পরবর্তীতে বিএনপিজামায়াতে ইসলামী মিলে রাজনৈতিক জোট গঠন করেছে।

শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী শপথ নিলেন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজনৈতিক দল না হলেও বর্তমান সরকার ও বাংলাদেশের রাজনীতি তাদের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে।

সে হিসেবে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন, যদি আওয়ামী লীগ তাদের রাজনৈতিক প্লার্টফর্ম পুনরুদ্ধার না করতে পারে, তাহলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান প্রতিপক্ষ হবে বিএনপি এবং একইভাবে বিএনপির দিক থেকেও প্রধান প্রতিপক্ষ হবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

তবে, বিএনপি নেতারা মনে করছেন, আগামী নির্বাচনে মাঠ চষে বেড়ানো দলগুলো বিএনপির শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারবে না।

আরও পড়ুন: আজ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ড. ইউনূস বাংলায় ভাষণ দেবেন

- Advertisment -

সর্বশেষ খবর

Recent Comments