টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা সাকিবের । বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বিসিবির কাছে তার অবসর নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান অবিলম্বে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন এবং অক্টোবরে মিরপুরে বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের পর টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
আরও প্রকাশ করেছেন যে ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টই তার শেষ লাল বলের ম্যাচও সাকিবের শেষ হতে পারে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় টেস্টের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অবসর নেয়ার এই ঘোষণা দেন।
সাকিব জানান তিনি মিরপুরে তার দেশের মাটিতে দীর্ঘতম ফরম্যাট থেকে বিদায় নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে, তা না হলে, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিই হবে টেস্ট ক্রিকেটে তার শেষ ম্যাচ হবে।
তিনি বলেন, “আমি মিরপুরে আমার শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি, যদি তা না হয়, ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট হবে আমার শেষ ম্যাচ।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে এবং আমি এই ফরম্যাটে ঘরের মাঠে আমার শেষটা দিতে চাই।”
মজার ব্যাপার হলো, সাকিব আল হাসানের টেস্ট অভিষেকও হয়েছিল ভারতের বিপক্ষে। আর সেই ভারতের বিপক্ষেই শেষ ম্যাচ দিয়ে সাকিবের অবসর নেয়ার ঘোষণা আসলো।
বাংলাদেশের হয়ে তার প্রথম লাল বলের উপস্থিতি ছিল ২০০৭ সালে চট্টগ্রামে। এবং তারপর থেকে তিনি দেশের হয়ে ৭০টি টেস্ট খেলেছেন।
সাকিবের অবসর ঘোষণা দেয়া পর্যন্ত তিনি ৪৬০০ রান সংগ্রহ করেছেন, যার মধ্যে ৫টি সেঞ্চুরি এবং ৩১টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে; যা তাকে বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক করে তুলেছে।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হিসেবে সাকিব অপ্রতিদ্বন্দ্বী, ২৪২ উইকেট শিকার করেছেন। তিনি বাংলাদেশের একমাত্র বোলার যিনি টেস্টে ২০০ উইকেটের মাইলফলক অতিক্রম করেছেন।
সাকিব আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় বাংলাদেশের হয়ে তার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি খেলে ফেলেছেন।
সাকিবের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা দেয়ার বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের হয়ে ১২৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১২১.১৮ স্ট্রাইক রেটে ২৫৫১ রান সংগ্রহ করেছেন।
১২৬ ইনিংসে সাকিব ১৪৯ উইকেট শিকার করেছেন, যা ১৫০ উইকেটের মাইলফলক থেকে মাত্র একটি উইকেট কম।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার ব্যক্তিগত সেরা সাফল্য হল একটি দুর্দান্ত ৫/২০।
বাংলাদেশের হয়ে তার চূড়ান্ত উপস্থিতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় হয়েছিল, যেখানে তিনি জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার এইট পর্বে খেলেছিলেন।
সাকিবের অবসর ঘোষণা করার সময় সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় তার স্বভাবসুলভ হাসিখুশি ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএসইসি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে সাকিব আল হাসানকে