শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) শপথ নিলেন হরিনি অমরসুরিয়া । তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন দেশটির সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েকে।
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়াও বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাকে। খবর রয়টার্সের।
প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল জনতা ভিমুক্তি পেরেুমুনা (পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট-জেভিপি) সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ৪২ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জয়লাভ করে, যেখানে ৩৭ জন প্রার্থীকে পরাজিত করেন তিনি। যদিও পার্লামেন্টে জেভিপির অবস্থান শক্তিশালী নয়। ২২৫ সদস্য বিশিষ্ট পার্লামেন্টে তাদের মাত্র ৩ জন আইনপ্রণেতা রয়েছেন, যার মধ্যে হরিনি অমরসুরিয়া অন্যতম।
দেশটির ১৫তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দীনেশ গুণবর্ধনের স্থলাভিষিক্ত হলেন ৫৪ বছর বয়সী অমরাসুরিয়া। তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন চার বছর আগে । তিনি একসময় সমাজবিজ্ঞানের প্রভাষক ছিলেন। তিনি লিঙ্গ সমতা এবং সংখ্যালঘু অধিকারের বিষয়ে সক্রিয়তার জন্য পরিচিত।
জেভিপির জ্যেষ্ঠ নেতা নামাল করুণারত্নে এএফপিকে জানান, সংবিধান অনুযায়ী আপাতত দলের ৩ এমপি সমস্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকবেন। শিগগিরই পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া হবে এবং নতুন এমপিরা শপথ নেবেন।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে যে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে, তা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ছোটো মন্ত্রিসভা এবং সম্ভবত আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া হবে।
ধারণা করা হচ্ছে শ্রীলঙ্কার এই রাজনৈতিক পরিবর্তন দেশটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
উল্লেখ্য , শনিবার সকাল ৭ টায় ১৩ হাজারের বেশি ভোট কেন্দ্রে শ্রীলংকার নবম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। আর মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন হরিনি অমরসুরিয়া ।