সরকারি টাকায় হজ করা বিলাসিতা বললেন, সুপরিচিত ইসলামী আলোচক ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ । আজ (২৩ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ নিয়ে একটি পোস্ট করেন তিনি।।
পোস্টে জনপ্রিয় এ আলেম লিখেছেন, সরকারি টাকায় হজ করা এক ধরনের বিলাসিতা।
সরকারি টাকায় হজ করাকে বিলাসিতা আখ্যা দিয়ে তিনি লেখেন, “প্রতি বছর অনেক ক্ষমতাসীন রাজনীতিক ও সরকারের পছন্দের মানুষ রাষ্ট্রের টাকায় হজে যান। এটা শরয়ী এবং নৈতিক কোনো দিক থেকেই সিদ্ধ নয়।”
“এতে একদিকে যেমন দেশের টাকার অসদ্ব্যবহার হয়, পাশাপাশি এইসব লোকদের পেছনে হজ অফিসকে বাড়তি মনোযোগ দিতে হয় এবং ব্যস্ত থাকতে হয়। এর ফলে সাধারণ হাজিরা তাদের যথাযথ সেবা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হন।”
“সরকারি টাকা মানে জনগণের টাকা। জনগণ তো কাউকে হজের জন্য টাকা দেয় না। একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি জনগণের টাকায় হজ করছেন, এর মধ্যে কোনো গৌরব নেই। আছে প্রচ্ছন্ন লাঞ্ছনা।”
“অতএব, এই প্রথা চিরতরে বন্ধ হওয়া উচিত। তবে হ্যাঁ, সরকারের তরফ থেকে নিয়োজিত ডাক্তার, হজ গাইড ও অন্যান্য হজ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের কথা ভিন্ন।”
তিনি আরও বলেন, “সরকারি হাজিদের সেবায় যারা সৌদি যান, তাদের বেশিরভাগই নিজের হজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেকে ঘোরাঘুরি করে সময় কাটান। সরকারি হাজিদের অবস্থা থাকে অনেকটা মা বাপ ছাড়া সন্তানের মতো। তাদের দেখার যেন কেউ থাকে না। সরকারি হাজিদের অসহায়ত্ব ও দুরবস্থা দেখে প্রতিবছরই কষ্ট হয়।”
“এ অবস্থারও অবসান হওয়া দরকার। হাজিদের সার্ভিস দেওয়ার নাম করে সেখানে হজ করতে যাওয়াও অনুচিত, যদি সেই হজ পালনের ফলে হাজিদের সেবাদানে ত্রুটি হয়। সুতরাং পরিচিত কোটায় সেবার জন্য হজে যাওয়াও বন্ধ হওয়া উচিত।”
আরও পড়ুন:
এআই মাধ্যমে তৈরি নাকি আসল ছবি , চিনবেন যেভাবে
বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা ১২৪টি গুরুত্বপূর্ণ এককথায় প্রকাশ