প্রত্যেক বাবা-মাই তাদের সন্তানদের যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান। এই দায়িত্ব পালনে কোনো ত্রুটি রাখেন না বাবা-মা। তবে এক্ষেত্রে কন্যা সন্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে একটু বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। আর এর প্রথম পদক্ষেপ ঘর থেকেই শুরু করা উচিত।
বর্তমান যুগেও অনেক পরিবারে ছেলে ও মেয়ের বিভেদ দেখা যায়। খাবার থেকে শুরু করে চলাফেরা এমনকি খেলাধুলাতেও ছেলে-মেয়ের বিভেদ শিশু মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। একটি মেয়েই শুধু পুতুল বা বাসনপত্র নিয়ে খেলবে, আর ছেলেরা শুধু গাড়ি নিয়ে খেলবে। এসব ধারণা কিন্তু ছেলে-মেয়ারা তাদের পরিবার থেকেই পায়। কিন্তু আপনি যদি আপনার মেয়েকে আত্মবিশ্বাসী ও স্বাবলম্বী হিসেবে ভবিষ্যতে দেখতে চান তাহলে প্রথম থেকেই তার বিকাশের বিষয়ে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। কন্যা সন্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে যা করবেন-
১. বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তার মতামত নেয়ার চেষ্টা করুন। এতে শিশুর কথা বলার আগ্রহ বাড়বে।
২. শিশুরা দুষ্টুমি করবেই। এভাবেই খেলার ছলে মেয়ের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে হবে। কখনো গায়ে হাত তুলবেন না।
৩. শিশুর সামনে কখনো অন্যদের শারীরিক গড়ন কিংবা ত্বকের রং নিয়ে উপহাস করবেন না। এর প্রভাব পড়বে শিশুর উপর।
৪. কখনো মেয়েকে বলবেন না ঘরের কাজে বাড়তি মনযোগ দিতে হবে। ঘরের কাজের গণ্ডি ছাড়িয়ে বড় স্বপ্ন দেখাতে শেখান।
৫. ধীরে ধীরে শিশুকে ভালো-মন্দ, বিপজ্জনক কাজ, নিরাপদ থাকার কৌশল- এসব বিষয়ে শিক্ষা দিন। এতে শিশু নিরাপদে থাকতে পারবে।
৬. শিশুকাল থেকেই সন্তানকে সাইকেল চালানো শেখানো, ছবি আঁকা, নাচ-গান ইত্যাদি শেখানো যেতে পারে। এসব শিখলে শিশুর নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
৭. অন্যের সামনে কখনো শিশুকে নাচতে বা গাইতে বলে বিব্রত করবেন না। এতে শিশুর আত্মবিশ্বাস কমে যায়। মনে রাখবেন সবাইকে বিনোদিত করা কিন্তু আপনার কন্যার কাজ নয়।
৮. সমাজে কন্যাশিশুকে নিয়ে অনেক কুসংস্কার ও ট্যাবু আছে। মেয়েদের এটা করা উচিত, এটা করা উচিত নয় ইত্যাদির প্রভাব যেন ছোটবেলায় শিশুর উপর না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
আরও পড়ুন: টাওয়ারে উঠে আটকে যাওয়া শিশুকে ৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার