যশোরে দুই মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মায়ের দ্বিতীয় স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত যুবকের নাম ইসমত সাইদ হৃদয়।
দুই মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটক ইসমত সাইদ হৃদয় বাগেরহাট জেলা সদরের সুন্দর ঘোনা গ্রামের ইমন সাইদের ছেলে। তিনি যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের এক নারীকে বিয়ে করে সেখানেই বসবাস করতেন। ওই নারীর আগের পক্ষের দুই মেয়ে রয়েছে।
হৃদয়ের স্ত্রী বলেন, আমি খুলনায় প্রজেক্ট ফুডে কাজ করতাম। ওই ফুড কোম্পানির অফিস পিয়ন ছিল ইসমত সাইদ হৃদয়। প্রথমে তার সঙ্গে আমার প্রেম হয়, তারপর আমরা বিয়ে করি। আমার আগের পক্ষের দুটি মেয়ে আছে। তাদের বয়স ১৭ ও ১৫। হৃদয়সহ মেয়েদের নিয়ে বাহাদুরপুর বাঁশতলায় একটি বাড়িতে বসবাস করি। আর হৃদয় যশোর শহরে ইজিবাইক চালাত। আমার অজান্তে হৃদয়ের কু-নজর পড়ে আমার আগের ঘরের দুই মেয়ের ওপর।
তিনি আরও বলেন, ফাঁদে ফেলে দুই মেয়েকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে হৃদয়। আর ধর্ষণের ছবি মোবাইলে তুলে হুমকি দিত কাউকে কোনো কিছু না বলতে। সর্বশেষ আমার বড় মেয়েকে তোলা নগ্ন ছবি দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে জোর করে বিয়ে করে। সবকিছু জানতে পেরে পুলিশকে জানালে কোতোয়ালি থানার পুলিশ হৃদয়কে আটক ও মেয়েকে উদ্ধার করে যশোরে নিয়ে আসে।
হৃদয়কে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
ভুক্তভোগী কিশোরীর অভিযোগ, সব সময় কি একটা খাইয়ে দিয়ে আমাকে অচেতন করত। হৃদয় আমার ছোট বোনকেও ধর্ষণ করেছে।
কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, এসআই মতিয়ার রহমান ঢাকার বাড্ডা থেকে ইসমত সাইদ হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেছে। ভুক্তভোগীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জরিমানার কবলে বাংলাদেশ