জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার জানাজা আজ সকাল জাতীয় ঈদগাহে ময়দানে অনুষ্টিত হয়েছে।
সোমবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
এর আগে মরহুমের লাশ আজ সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে দেশে এসে পৌঁছেছে। নিউইয়র্ক থেকে এয়ার এমিরেটসের বিমানে তার লাশ দেশে আসে। এর আগে রোববার স্থানীয় সময় বাদ জোহর নিউইয়র্কের জ্যামাইকার মুসলিম সেন্টারে ডেপুটি স্পিকারের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে সকাল ৯টায় একটি লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে। সেখানে গার্ড অব অনার শেষে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
ডেপুটি স্পিকারের জানাজায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকসহ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন।
সুপ্রিম কোর্ট থেকে মরহুমের মরদেহ নেয়া হবে গাইবান্ধায়। সেখানকার ভরতখালী স্কুল মাঠে বিকেল ৩ টায় তার জানাজা শেষে পারিবারিক করবস্থানে দাফন করা হবে ফজলে রাব্বী মিয়ার লাশ।
ফজলে রাব্বী মিয়া যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে দীর্ঘ ৯ মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনের এই সংসদ সদস্য দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তিনি সেখানে মারা যান।
বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফয়জার রহমান এবং মাতার নাম হামিদুন নেছা। ১৯৫৮ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হন। ওই বছর আইয়ুব খান পাকিস্তানে মার্শাল ল’ চালু করেছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতা চাচার সঙ্গে তিনি মার্শাল ল’ বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬২-৬৩ সালে শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলন করেছিলেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফজলে রাব্বী মিয়া মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। তিনি ১১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতে তিনি কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: বাস নদীতে পড়ে ২৪ জনের প্রাণহানি