জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন নুরুল হাসান সোহান। এই নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন দেশের অষ্টম টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সোহান ।
প্রথমবারের মত জাতীয় দলের অধিনায়ক হবার পর আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন সোহান। নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন অধিনায়ক সোহান।
টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব নিয়ে তিনি বলেন, এটা অবশ্যই গর্বের ব্যাপার। সামনে যে চ্যালেঞ্জটা আছে, সেটা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি। খুব বেশি রোমাঞ্চ বা এসবের কোন সুযোগ নেই। মনে হয়, দল হিসেবে সেরাটা দেওয়াই লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, নেতৃত্ব নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করার কিছু নেই। আমি স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করছি। অবশ্যই এটি গর্বের ব্যাপার। অবশ্যই আমার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের জায়গায় টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হয়েছেন সোহান। আপতত জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য দায়িত্ব পাওয়ায় আসন্ন তিন টি-টোয়েন্টি নিয়েই ভাবতে চান তিনি।
সোহান বলেন, এক সিরিজের জন্য নেতৃত্ব পেয়েছি আমি। তিন ম্যাচ নিয়েই আমার ভাবনা। আমার মনে হয়, আমরা কিভাবে সেখানে ভালো করতে পারি, সেটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা থাকবে শতভাগ দেয়া এবং প্রক্রিয়া অনুসরণ করা। ফল যাতে ইতিবাচক হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করা।
তিরি আরও বলেন, আমার কাছে মূল বিষয়টা হলে, ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই চেষ্টা করবো, যাতে এটা করতে পারি। আগে থেকে ফল নিয়ে চিন্তা করলে অনেক সময় প্রক্রিয়াটা ঠিক থাকে না। আমার মনে হয়, ভয়ডরহীন থাকলে ইতিবাচক কিছু হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে।
জিম্বাবুয়ে সফরে নেতৃত্ব হারানেরা পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি দলেও জায়গা হয়নি মাহমুদুল্লাহর। তার নেতৃত্বে ৪৩ ম্যাচে ১৬টি জয় ও ২৬টি হারের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। অধিনায়ক হিসেবে ৪২ ইনিংসে ২টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ২৩ গড়ে ৭৮২ রান করেন মাহমুদুল্লাহ।
মাহমুদুল্লাহর নেতৃত্বে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছেন সোহান। এমনকি সাবেক মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালের অধীনেও খেলেছেন তিনি। তাই সিনিয়রদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন বলে জানান সোহান।
তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার যখন শুরু হয়, তখন রিয়াদ ভাই আমার অধিনায়ক ছিলেন। তখন থেকে তার কাছ অনেক কিছু শিখেছি। আমাদের যে পাঁচজন সিনিয়র ক্রিকেটার আছেন, মাশরাফি ভাই হয়তো এখন দল নেই। তাদের সবার কাছ থেকেই শেখার অনেক কিছু আছে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে পঞ্চপান্ডব, পাঁচ ক্রিকেটারের সাথেই কথা হয়েছে বলে জানান সোহান। তিনি বলেন, ‘তাদের সবার সাথেই কথা হয়েছে। রিয়াদ ভাই, সাকিব ভাই, তামিম ভাই, মুশফিক ভাই, মাশরাফি ভাই, সবার সাথেই কথা হয়েছে। স্বাভাবিক কথাবার্তাই হয়েছে, বিশেষ কিছু না। তাদের সঙ্গে অনেক দিন একসঙ্গে খেলেছি। সবার নেতৃত্বেই খেলেছি। সব কিছু মিলিয়ে নিজের শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করবো।’
২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় সোহানের। এরপর দেশের হয়ে ৩৩টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ১২ দশমিক ৯০ গড়ে ২৭১ রান করেছেন সোহান।
সোহান বলেন, আউটকামের চেয়ে প্রক্রিয়া খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেই চেষ্টাই করবো। আমার কাছে এই সিরিজে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার যেটা মনে হচ্ছে, সেটা হচ্ছে একটা দল হিসেবে খেলা। সবাই যদি মন থেকে শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করি তাহলে ভালো কিছুই হবে।
অধিনায়ক হিসেবে নিজের দায়িত্বের কথাও বললেন সোহান। তিনি বলেন, যখন সাধারণ খেলোয়াড় হিসেবে খেলি, তখন আমার লক্ষ্য থাকে, দল কি চাচ্ছে, সেটা পূরণ করা। যেহেতু এই সিরিজে অধিনায়কত্ব করছি, লক্ষ্য থাকবে দল হিসেবে কিভাব খেলতে পারি, সেটা নিশ্চত করা।
আগামী ৩০ জুলাই থেকে জিম্বাবুয়ের মাটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ। আর ৫ আগস্ট থেকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে টাইগাররা।
আরও পড়ুন: কনসার্ট ফর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিরাট ভূমিকা রেখেছিল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী