উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের নবনির্মিত নলকা সেতু আজ পুরোপুরি খুলে দেয়া হয়েছে। আজ সেতুর ঢাকামুখী লেনটি খুলে দেয়া হয়।
এ সময় সাকেস-২ ডাব্লউ ও ৬ মীর আকতার লিমিটেডের প্রকল্প ম্যানেজার মো. এখলাস উদ্দিন, ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার শের শাহ, হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নব নির্মিত নলকা সেতু ঢাকাগামী লেন খুলে দেওয়ায় এবার ঈদে যানজটবিহীন নির্বিঘেœ উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার মানুষ ঈদে ঘরে ফিরতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করছেন হাইওয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্ত্বর পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার যানজটের মুল কারন ছিল- ঝুকিপুর্ন নলকা সেতু, রাস্তার খানাখন্দ ও ঝুকিপুর্ন ওভারটেক। তিনটি কারণে প্রতিবছর ঈদে উত্তরবঙ্গের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো।
গত রোজার ঈদের ঝুকিপুর্ন নলকা সেতুর পাশে নতুন ফোরলেন সেতু নির্মাণ করা হলেও, প্রশাসনের চাপে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাত্র একলেন খুলে দিয়েছিল । এ কারনে যানজট একটু কম ছিল। এ বছর সেতুর দুটি লেনই খুলে দেয়া হয়েছে।
একই সাথে মহাসড়কের খানাখন্দক সংস্কার করা হয়েছে। এ অবস্থায় এবার যানজটমুক্তের আশা করছে চালকরা।
ঢাকাগামী ট্রাক চালক আব্দুর রহিম ও বাস চালক ফরিদ আহম্মেদ জানান, নবনির্মিত নলকা সেতুটি পুরোপুরো ভাবে খুলে দেওয়ায় কি পরিমান যে উপকার হবে, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। আগে যে সেতুটি পার হতে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটের কবলে পড়ে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো, এখন অনায়েসে সেতুটি পার হতে পারবো। এতে আমাদের এবং যাত্রীদের কোন ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মীর আকতার লিমিটেড এর প্রকল্প ম্যানেজার এখলাস উদ্দীন জানান, গত তিন বছর যাবত ঢাকা-রংপুর মহাসড়কটি ফোর লেন উন্নতীকরণের কাজ চলছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল গোল চত্বর পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার পর্যন্ত কাজ আমরা বাস্তবায়ন করছি। কাজ শেষ না হলেও, ঈদে ঘরমুখো মানুষের কথা চিন্তা করে দিন-রাত পরিশ্রম করে নলকা সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করে আজকে পুরোপুরি ভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, নলকা সেতুর পুরোপুরি খুলে দেওয়ার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে হাটিকুমরুল মহাসড়কের খানাখন্দ সংস্কার করায়, যানজট হবে না বলে মনে করছি। এছাড়াও চালকরা যেন ঝূকিপূর্ন ওভারটেক না করে এবং তারা যেন লেন মেনে গাড়ি চালায়, সেজন্য মহাসড়কের পয়েন্টে পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েনসহ টহল পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করবে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ক ইউনিটে পাসের হার ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ