মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর পিরানহা মাছ বাংলাদশে চাষ নিষিদ্ধ করা হলেও এখনও এগুলোর চাষ হচ্ছে এবং গ্রামে গঞ্জের বাজারে রূপচাঁদা হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। অথচ রূপচাঁদা সামুদ্রিক মাছ আর পিরানহা হচ্ছে নদীর মাছ। বন্যার পানিতে ভেসে আসছে রূপচাঁদা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে কিছু অসাধু বিক্রেতা।
পিরানহা মাছের উৎপাদন, বিপণন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশে সরকার। এটা খুবই বিষাক্ত মাছ। এটা খেলে কঠিন অসুখ হতে পারে এমনকি মৃত্যু ঝুঁকিও আছে।
বাস্তবে পিরানহা হচ্ছে রাক্ষুষে মাছ। এই মাছ যে পানিতে থাকে সেখানে মানুষ বা অন্য কোনও প্রাণী সাঁতার কাটতে বা এমনিতে নামলেও তার শরীরের অংশ বিশেষ এই মাছ খেয়ে ফেলবে এবং উঠতে দেরি করলে তার কঙ্কাল ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।
পিরানহা ও রূপচাঁদা মাছ চেনার উপায়ঃ
১. পিরানহা মাছের তীক্ষ্ণ দাঁত দেখা যাবে।
২. এই মাছের কানকো থাকে। রূপচাঁদা মাছের কানকো মেশানো থাকে।
৩. পিরানহা মাছের লেজের কাছে ছোট আরেকটি পাখনা বা এডিপোজ পাখনা থাকে। রূপচাঁদা মাছের এমন কোনো পাখনা নেই।
৪. পিরানহার গায়ের রং কিছুটা লালচে ও ধুসর বর্ণের হয়। রূপচাঁদার মতো চকচকে থাকে না।
জনস্বার্থে প্রচারিত।
২০০৮ সালে সরকারিভাবে ক্ষতিকর পিরানহা মাছ বাংলাদেশে চাষ বা বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়। তবে ধূর্ত মাছচাষিরা এখনও গোপনে এর চাষ করছে এবং বিভিন্ন বাজারে রূপচাঁদা নামে এই রাক্ষুসে মাছটি বিক্রি হচ্ছে। অনেকে এটাকে রূপচাদা মাছ মনে করে কিনে নিয়ে যাচ্ছে এবং রান্না করে খাচ্ছে।