২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ঘটমান সংবাদ এ স্বাগতম।  সাথেই থাকুন।
হোমঅন্যান্যইসলাম ও জীবনজিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের ১০ টি আমল

জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের ১০ টি আমল

আরবি ১২টি মাসের মধ্যে ৪টি মাস সম্মানিত। ঐ মাসগুলোতে আল্লাহ তাআলা যুদ্ধ-বিগ্রহ ও রক্তপাতকে হারাম করেছেন। তার মধ্যে জিলহজ মাস একটি। এ মাসের প্রথম দশদিনের রয়েছে বিশেষ আমল ও ফজিলত।

কুরআনে জিলহজ মাসের মর্যাদা
১. আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের সুরা ফাজরে জিলহজের প্রথম ১০ রাতের শপথ করে এ দিনগুলোর মর্যাদা তুলেছেন। প্রথম দুই আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘শপথ ভোরবেলার! শপথ ১০ রাতের!’

তাফসির ইবনে কাসিরেও এ ১০ রাতের শপথ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১০ রাতের শপথ দ্বারা জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনই উদ্দেশ্য।

২. আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা যেন নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহর স্মরণ করে।’ (সুরা হজ : আয়াত ২৮)

মুফাসসির সাহাবি হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, ‘(এ নির্দিষ্ট দিনসমূহ দ্বারা উদ্দেশ্য) জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন।’

জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের ফজিলত
১. জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমলের ফজিলত জিহাদের চেয়েও মর্যাদাবান। হাদিসে আছে হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এ দিনগুলোর (জিলহজের প্রথম ১০ দিনের) আমলের তুলনায় কোনো আমল-ই অন্য কোনো সময় উত্তম নয়। তারা বলল : জিহাদও না? তিনি বললেন : জিহাদও না, তবে যে ব্যক্তি নিজের জানের শঙ্কা ও সম্পদ নিয়ে বের হয়েছে, অতঃপর কিছু নিয়েই ফিরে আসেনি।’ (বুখারি)

জিলহজ মাস মর্যাদা ও ফজিলতপূর্ণ হওয়ার অন্যতম কারণ দুটি। প্রথমটি হলো-এ মাসেই হজ অনুষ্ঠিত হয়।

দ্বিতীয়টি হলো- কুরবানি।

জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের ১০ টি আমল:

১. এই দশদিন নখ ও চুল না কাটা।

২. জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন কুরবানি করার আগ পর্যন্ত রোজা রাখা বিশেষ করে আরাফার দিনে রোজা রাখার ফজিলত রয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দিনগুলোতে রোজা রাখতেন।

৩. জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন বেশি পরিমানে আল্লাহর যিকির করা।

৪. এই দিনগুলোতে বেশি বেশি তাকবীর পাঠ করা।

৫. সম্ভব হলে সাদকাহ করা।

৬. বেশি বেশি দোয়া করা।

৭. জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন বেশি বেশি নফল ইবাদত করা।

৮. আন্তরিকভাবে তওবা করা।

৯. সামর্থ থাকলে হজ্জ ও উমরাহ করা।

১০.  সামর্থ থাকলে কুরবানী করা।

আরও পড়ুন: পবিত্র ঈদুল আযহা ১০ জুলাই

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

সর্বশেষ খবর

Recent Comments