রাস্তায় চলতে চলতে অনেক সময় দেখা যায় কুকুরেরা গাড়ির চাকা, মোটরসাইকেল বা কোন বৈদ্যুতিক খুঁটি দেখলেই সেখানে গিয়ে প্রস্রাব করতে শুরু করে। কুকুরের এমন কাণ্ড আমাদের মনে কৌতূহলের সৃষ্টি করে।
আবার অনেক সময় কুকুররা এদিকে ওদিকে শুঁকতে শুঁকতে গাড়ির চাকা বা খুঁটির কাছে গিয়ে একটু প্রস্রাব করে চলে যায়। আর এটা লক্ষ্য করার পর অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠে রাস্তায় এতো জায়গা থাকতে কুকুরের কেন গাড়ির চাকাতেই মূত্র ত্যাগ করতে হয়?
আসলে এর পিছনে রয়েছে কুকুরদের এক মনস্তাত্বিক দিক কাজ করে। যা জানলে অবাক হবেন আপনি! সাধারনত কুকুরদের এই কাজের পিছনে তিনটি যুক্তি কাজ করে। চলুন জেনে নিন সেগুলিকে কি কি-
১) কুকুর প্রস্রাব করার জন্য সাধারণত গাড়ির চাকা খুঁজে। কারণ এর সাহায্যে তারা অতি সহজেই নিজের এলাকা সনাক্ত করতে পারে। এছাড়া সঙ্গীর সংগে যোগাযোগ করার জন্য এটি তাদের কাছে সহজ পথ। আসলে মাটিতে প্রসাব করলে তাড়াতাড়ি মিশে যায় কিন্তু গাড়ির চাকা মাটি থেকে একটু উঁচুতে থাকে বলে প্রস্রাবের গন্ধ বেশিক্ষণ স্থায়ী থাকে। তাই নিজেদের সুবিধার্থে গাড়ির চাকাতে প্রসাব করে।
২) উপরিউক্ত প্রথম কারণের মতোই কুকুর কোন বৈদ্যুতিক খুঁটি দেখলে সেখানে প্রসাব করে থাকে। এছাড়াও এর দ্বারা কুকুর অতি সহজে বুঝতে পারে যে তারা তাদের নিজের এলাকাতেই রয়েছে। আর গাড়ির চাকার মতো বৈদ্যুতিক খুঁটিও মাটি থেকে বেশ উঁচুতে থাকে। ফলে প্রস্রাবের গন্ধ বেশিক্ষণ স্থায়ী থাকে।
৩) এছাড়াও মনে করা হয় গাড়ির চাকার টায়ারের গন্ধ কুকুরদের কাছে বেশ পছন্দের। টায়ারের গন্ধে আকৃষ্ট হয়েই চারাদিক শুঁকতে শুঁকতে সেই গাড়ির চাকাতে গিয়েই তারা প্রস্রাব করে।
আসলে মানুষের কাছে যেমন তাদের বসবাসের অঞ্চল একটা ভরসা ও নিরাপত্তার স্থান। ঠিক তেমনি একটি কুকুরের কাছেও নিজের এলাকা চিহ্নিত করার এটাই একমাত্র পথ। আর এর জন্য তাদের খাবারে অন্য কোন এলাকার কুকুর ভাগ বসাবে না এবং অনান্য কুকুরের সঙ্গে ঝামেলাও হবে না।
যেই স্থানে যেই কুকুরের বসবাস সেখানে শুধু তারাই থাকবে। কোন বাহিরাগত কুকুর এসে প্রবেশ করতে পারবে না। কারণ গাড়ির চাকায়, বৈদ্যুতিক খুঁটিতে মূত্র ত্যাগ করার কারণে এলাকার সীমান্ত স্পষ্টই থাকে।
আরও পড়ুন: ২৮ জুন থেকে ১৯ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে