উজান থেকে আসা ঢল ও দেশের অভ্যন্তরে বর্ষনে বগুড়ায় যমুনার পানি বৃদ্ধিতে তিন উপজেলার ফসল নিমজ্জিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে,রোববার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনার পানি বিপৎসীমার ৩২সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনটের ৮৩৪ হেক্টর জমির আউস, পাট, ভূট্টা ও বীচতলা বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এদিকে যমুনা তীরবর্তি নি¤œাঞ্চল সোনাতলা ,সারিয়াকান্দি ও ধুনটের বন্যা কবলিত অঞ্চলের মানুষ নিজ বসতবাড়ি থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাাঁধে আসতে শুরু করেছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান জানান, সারিয়াকান্দির চরের নি¤œাঞ্চলে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে যমুনার পানি বগুড়ার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ইতোমধ্যে সারিয়াকান্দির যমুনার চরাঞ্চলে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। সারিয়াকান্দি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। যমুনার পানি এখন বিপদ সীমার ১৭ দশমিক ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান,বগুড়ায় যমুনার পানি বৃদ্ধিতে তিন উপজেলা সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনটের ৮৩৪ হেক্টর জমির আউস, পাট, ভূট্টা ও বীচতলা বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এর মধ্যে সারিয়াকান্দিতে ৭১০ হেক্টর জমির ফসল, সোনাতলার ৯৬ হেক্টর ও অবশিষ্ট ধুনট উপজেলার ফসল পানিতে ডুবে গেছে।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো: জিয়াউল হক জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথেষ্ঠ প্রস্তুতি রয়েছে। চাল, শুকনা খাবার ও নগদ টাকা মজুদ রয়েছে।