চাল মেপে ভাত রান্না করলেও অনেক সময় কিছুটা ভাত বেঁচে যায়। সেই বেঁচে যাওয়া ভাত অনেকে ফেলে দেন অথবা ঠাণ্ডা বা গরম করে খেয়ে ফেলেন। অনেকেই আবার রাতে ভাতে পানি দিয়ে রাখেন এবং সকালে পান্তা ভাত হিসেবে খান। অনেকে আবার বেঁচে যাওয়া ভাত ফ্রিজে রেখে দেন। পুনরায় ভাত গরমে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।
চালে স্পোরস নামক এক ধরনের উপাদান থাকে যা ব্যাসিলাস সেরিয়াস নামের ব্যাকটেরিয়ায় রূপান্তরিত হয় এবং রান্নার পরও এই ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয় না। কিন্তু রান্না করা ভাতের মধ্যে সাধারণত এই ব্যাকটেরিয়া বেঁচে থাকেনা। তবে রান্নার পরে সেই ভাত না খেয়ে যদি ঠাণ্ডা করে রেখে দেওয়া হয় তবে ব্যাকটেরিয়া আবার তার মধ্যে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। যা থেকে বমি, ডায়েরিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পুনরায় ভাত গরমে একই সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঠিক পদ্ধতিতে ভাত গরম না করলে পেটে সংক্রমণও হতে পারে। যদি ভাত গরম করে খেতে চান, তবে সেক্ষেত্রে জানতে হবে কীভাবে ভাতটিকে পুনরায় গরম করলে তাতে ক্ষতিকরক প্রভাব থাকবেনা। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক পদ্ধতিটি-
- প্রথমবার ভাত রান্না করার সময় ভাতকে উচ্চ তাপমাত্রায় ফোটাতে হবে। রান্না করা ভাত ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়ার পরে এক ঘণ্টার বেশি ঘরের তাপমাত্রায় রাখা যাবেনা।
- ভাত ঠাণ্ডা হয়ে গেলে তা দ্রুত ফ্রিজে রেখে দিন। রান্না করা ভাত যদি ঠিকভাবে ফ্রিজে রাখা যায় তবে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত তাকে পুনরায় ব্যবহার করা যায়।
- মাইক্রোওয়েভে ভাত গরম করার ক্ষেত্রে প্রতি এক কাপ ভাতে এক চামচ হিসেবে পানি দিন এবং পানি পুরোপুরি শুকানো পর্যন্ত গরম করুন। আর যদি গ্যাসে গরম করতে চান তবে পানি দিয়ে ফোটানোর সময় তার মধ্যে এক চিমটি মাখন বা সাদা তেল দিয়ে দিন।
ভাত কেবল গরম না করে ভেজেও খেতে পারেন। ডিম, পেঁয়াজ, মরিচ, গাজর, বিনস দিয়ে ভাত ভেজে মজাদার নাস্তা তৈরী করা যায়। এটি খেতে অনেকটা ফ্রায়েড রাইসের মতো হয়। একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ তেল গরম করে তাতে ডিম, পেঁয়াজ, মরিচ, গাজর ও বিনস দিয়ে দিন। ভালো করে সবজিগুলো ভেজে তাতে বাসি ভাত দিয়ে নাড়ুন। ভাজা ভাজা হয়ে গেলে ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে গরম গরম পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন: যারা বুস্টার ডোজ নেননি, তারা দ্রুত নিয়ে নিন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী