২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ঘটমান সংবাদ এ স্বাগতম।  সাথেই থাকুন।
হোমলাইফটিপসশিশুর জন্য সকালের নাশতা কেমন হওয়া উচিত

শিশুর জন্য সকালের নাশতা কেমন হওয়া উচিত

শিশুদের জন্য সকালের নাশতা খুবই জরুরি। সারা রাত না খেয়ে থাকার পর সকালের নাশতা স্বাস্থ্যকর ও পর্যাপ্ত হওয়া উচিত। শিশুর জন্য সকালের নাশতা কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিনঃ
১. শিশুর খাবার সেটা যেকোনো বেলার হোক, ছোটবেলা থেকেই একটা নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এক বছর বয়স থেকেই শিশুকে অল্প করে হলেও নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করা উচিত।
২. সকালে ঘুম থেকে উঠার পর শিশুর মুখ ধুয়ে প্রথমেই তাকে একটু পানি খেতে দিন। এরপর এক ঘণ্টার মধ্যে সকালের নাশতা শেষ করানো উচিত।
৩. শিশুর বয়স ভেদে সকালের নাশতার মেন্যু নির্বাচন করতে হবে। স্কুলগামী শিশুর নাশতার মেন্যু হবে এক ধরনের। আবার এক থেকে চার বছর বয়সী শিশুদের নাশতা হবে ভিন্ন ধরনের। এক বছর পর থেকে প্রত্যেক শিশুর সারা দিনে ১ হাজার কিলোক্যালরি প্রয়োজন হয় এবং প্রতিবছর এই চাহিদা ১০০ কিলোক্যালরি করে বাড়তে থাকবে। সারা দিনের কিলোক্যালরির ৪ ভাগের ১ ভাগ অথবা তার কিছু বেশি সকালের নাশতা দিয়ে অবশ্যই পূরণ করতে হবে। অর্থাৎ এক বছর বয়সী শিশুর জন্য সকালের নাশতায় থাকা উচিত ২৫০-৩০০ কিলোক্যালরি। এই চাহিদা মেটানোর জন্য শিশুর নাশতায় থাকতে পারে ১টি ডিম, ১টি হাতে বানানো রুটি দিয়ে সবজির রোল, ২৫০ মিলিলিটার দুধ ও ১টি ছোট কলা।

স্কুলগামী শিশুদের জন্যও একই কথা প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে সকালের নাশতা দুই ভাগ করে এক ভাগ স্কুলে যাওয়ার আগে এবং আরেক ভাগ টিফিনে দিয়ে দিন। স্কুলে যাওয়ার আগে ১টি ডিম ,ব্রেড, মাখন, জেলি আর ১ গ্লাস দুধ খেতে পারে। ব্রেড আর ডিম দিয়ে টোস্ট করে দিলেও শিশুরা খেতে পছন্দ করে। টিফিনে দেওয়া যেতে পারে  সবজি-ডিম দিয়ে রান্না করা নুডলস, প্যানকেক, কাবাব রোল,ও ফলের জুস। নাশতায় অন্য  খাবারের পাশাপাশি ১টি ডিম ও দুধ যেন অবশ্যই থাকে। সরাসরি ডিম খেতে না চাইলে ডিম দিয়ে যেকোনো খাবার বানিয়ে দিন। মুরগি বা হাঁসের ডিমের চেয়ে কোয়েল পাখির ডিম শিশুদের জন্য উপকারী। বাড়ন্ত শিশুদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ২টি কোয়েল পাখির ডিম থাকতে পারে। ডিমের পাশাপাশি সকালে ১ গ্লাস দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস করুন।

৪.যেসব শিশু একবারে খেতে চায়না তাদের এই খাবার দুই ভাগে দিন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং    সকাল ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে আরেকবার দিতে পারেন।

৫. প্রতিদিনের নাশতায় একই খাবার না দিয়ে  বৈচিত্র্য রাখলে শিশুরা আগ্রহ নিয়ে খাবে। সে ক্ষেত্রে রুটি-সবজি রোলের পরিবর্তে একদিন  ডিম, দুধ, কলা, একদিন ডিম, আটা, চিনি ও দুধ দিয়ে বানানো প্যানকেক এবং কলা দেওয়া যেতে পারে।
৬. প্রতিদিন সিদ্ধ ডিম না দিয়ে একদিন ডিম তেলে ভেজে দিতে পারেন। ডিম ভাজার সময় ওপরে একটু চিনি ছিটিয়ে দিলে সুন্দর বাদামি রং হবে এবং শিশু খেতেও পছন্দ করবে।  একদিন ডিম ও দুধ দিয়ে পুডিং দেওয়া যেতে পারে।
শিশুদের সকালের নাশতায় যথাসম্ভব তাজা খাবার দিতে হবে। । কর্মজীবী মায়েদের তাড়া থাকলে রাতে নাশতা তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। তবে এক দিনের বেশি ফ্রিজে থাকা খাবার শিশুদের দেওয়া উচিত না। অর্ধেক তৈরি করে রাখা নাশতা সর্বোচ্চ তিন দিন ফ্রিজে রেখে খাওয়ানো যেতে পারে, এর বেশি নয়। শিশুরা  বাইরের কেনা অস্বাস্থ্যকর টিফিন যেন না খায়, সেদিকে অবিভাবকদের বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

সর্বশেষ খবর

Recent Comments