দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন এসময়ের জনপ্রিয় তরুণ অভিনেতা নিলয় আলমগীর। তিনি তার ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এক পোস্টে এ হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বিয়ে করেছি, ধর্ষণ তো করিনি।
চরম হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “কি যে একটা সমস্যায় আছি। বিয়ে করেছি , ২য় বিয়ে। হালাল সম্পর্ক, বৈধ সম্পর্ক। চুরি, ডাকাতি, খুন, ধর্ষন তো আর করি নাই।”
বিয়ের ছবি পোস্ট করা নিয়ে বিড়ম্বনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “নতুন বউ এর সাথে হাসি খুশি ছবি দিলে কমেন্ট করতেসে এত নির্লজ্জ কেন আপনি, ২য় বিয়ে করসেন আবার বউ এর সাথে ছবি দেন।”
একা ছবি দেয়া নিয়েও নাকি ভক্তদের মন্তব্য, বিয়ের পর একা ছবি কেনো।
আবার বিড়ালের সাথে ছবি দিলেও নাকি বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য আসছে!
তিনি বলেন, “একা ছবি দিলাম তাতেও সমস্যা বিয়ের পর একা ছবি কেনো। আমার বিড়াল এর সাথে ছবি দিলাম সেটাও সমস্যা।”
তিনি গালি খাওয়ার ভয়ে এক হাজারের উপরে তোলা বিয়ের ছবি থেকেও ফেসবুকে পোস্ট করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, “এক হাজারের উপরে ছবি তুলেছি। গালি খাওয়ার ভয়ে পোস্ট করতে পারছিনা। আমার এত ছবি লইয়া আমি এখন কোথায় যাইবো?”
এদিকে নিলয়ের এরকম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেনস্থার শিকার হওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের গুণী কন্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান তার ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে নিলয়ের সেই পোস্ট শেয়ার করে প্রশ্ন তোলেন, এভাবে কি প্রতিদিন কাউকে না কাউকে হেয় প্রতিপন্ন হতে হবে?
তিনি বলেন, “প্রতিদিন কাউকে না কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার তাগিদটা কি খুব জরুরি?”
তাছাড়া তাহসান ভক্তদের প্রতি আরও একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “এটা কি খ্যাতির বিড়ম্বনা নাকি একটা সামাজিক ব্যাধি?”
কিছুদিন পূর্বে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে হেনস্থার শিকার হন। তিনি তার মায়ের সাথে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন তার নিজস্ব ফেসবুক পেজে। সেখানে তার মায়ের কপালে সিঁদুর পরা ছিলো। অনেকে আগে জানতেন না তিনি হিন্দু। ঐ ছবি দেখে তারা জানতে পারেন তিনি হিন্দু। এনিয়ে তাকে কটাক্ষ করে হীন মানসিকতার মানুষেরা।
এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন মিডিয়াতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিলো। একের পর এক সেলিব্রেটিরা এরকম সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, আসলেই কি এটা সামাজিক ব্যাধি?