বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ২২৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। ওয়েস্ট ইডিজের টার্গেট দাঁড়ায় ৩৯৫ রান। মোমিনুল হক ১১৫ ও লিটন দাস করেন ৬৯ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ওয়ারিকান ও কর্নওয়াল ৩টি করে উইকেট নেন।
মোমিনুল হকের এটি দশম টেস্ট শতরান। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন বিকেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৯৫ রানের বড় লক্ষ্য নির্ধারণে বাংলাদেশকে সহায়তা করে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ অধিনায়কের ১৯ টি ইনিংসে সাতটি সেঞ্চুরি রয়েছে, যা এক ভেন্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি।
তার ইনিংসের সময় মোমিনুল হক তিন হাজার টেস্ট রানের রেকর্ড পেরিয়ে যান এবং টেস্ট ফরম্যাটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডে তামিম ইকবালকে পেছনে ফেলেন।
৬৯ রান করা লিটন দাসের সাথে তিনি পঞ্চম উইকেটে ১৩৩ রান যোগ করেন। এটি চলমান টেস্ট ম্যাচের একমাত্র সেঞ্চুরি।
বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ, দ্বিতীয় ইনিংসে শেষের দিকে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের রান তোলায় তাড়াহুড়ো
ইনিংসের শেষের দিকে ব্যাটসম্যানরা ঝুঁকি নিয়ে রান করছিলেন। তাদের মধ্যে রান করার তাড়াহুড়ো লক্ষ করা যায়। এর একটি কারণ হতে পারে, দ্রুত রান তুলে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ-কে বড় রান টার্গেট দিয়ে তাদের জয় নিশ্চিত করা!
আরেকটি কারণও হতে পারে, সাকিব আল হাসান বাম উরুতে চোট পাওয়ায় ইনিংসে ব্যাট করতে নামতে পারবেন না জেনেই এরকম ঝুঁকি নিচ্ছিলেন।
দুজন দ্রুত রান করতে চেয়েছিল এসময় তাদের জুটি ভেঙে যায়। ওয়ারিকানের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ধরা পড়েন লিটন দাস।
এদিকে মোমিনুল হক শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে ডিপ স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ২২৩ রানে ইনিংস ঘোষণার আগে ওয়ারিকান মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের উইকেট তুলে নেন।
সকালে, মোমিনুল হককে গতকালের তুলনায় অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে খেলতে দেখা যায়। যদিও তিনি ১ রানের মধ্যে বাংলাদেশের ২টি উইকেট চলে যাওয়ার পর তিনি ক্রিজে এসেছিলেন।
মোমিনুল হক এবং মুশফিকুর রহিম উভয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ১ ও ২ রান নিয়ে খেলতে থাকেন। ম্যাচের অনেক সময় বাকি থাকায় অযৌক্তিক ঝুঁকি নেওয়ার দরকার ছিল না।
তবে এর পিছনে একটি কারণ হতে পারে, সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ এর সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর প্রথম ইনিংসের সময় তার বাম উরুতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ব্যাট করতে না পারা।
ইনিংস
বাংলাদেশ: দ্বিতীয় ইনিংস ২২৩/৮ (ইনিংস ঘোষণা) (মোমিনুল হক ১১৫, লিটন দাস ৬৯, ওয়ারিকান ৩-৫৭, কর্নওয়াল ৩-৮১) এবং প্রথম ইনিংস ৪৩০
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: প্রথম ইনিংস ২৫৯ (ব্র্যাথওয়েট ৭৬, ব্ল্যাকউড ৬৮, মিরাজ ৪-৫৮), দ্বিতীয় ইনিংস টার্গেট: ৩৯৫