আল-জাজিরা নিউজ চ্যানেলে ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ তারিখ বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স মেন’ শীর্ষক সংবাদ প্রচারিত হয়। স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক অশুভ অভিপ্রায়ে প্রচারিত সংবাদটি সর্ম্পকে সেনাসদর দপ্তর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। আজ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়।
এতে বলা হয়, একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর সাম্প্রতিক সময়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। প্রতিবেদনে মন্তব্যকারীরা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন দোষী ডেভিড বার্গম্যান, মাদকাসক্তির অভিযোগে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক ক্যাডেট জুলকারনাইন সায়ের খান (প্রতিবেদনে সামি হিসেবে আলোচিত) এবং অখ্যাত নেত্র নিউজ-এর প্রধান সম্পাদক তাসনিম খলিল। তাদের অতীত কর্মকান্ড এটাই প্রমাণ করে এসকল স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি অশুভ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে একত্রিত হয়েছে।
এটি স্পষ্ট নয় যে কীভাবে আল-জাজিরার মতো একটি আন্তর্জাতিক নিউজ চ্যানেল এক দল অশুভ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নকারী ব্যক্তিবর্গের সাথে কাজ করছে, যারা পূর্বে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারী, সামাজিক এবং ব্যক্তিগত বিষয়ের ভিডিওক্লিপগুলি একসাথে করে ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন অসংগত বিষয়সমূহ একত্রিত করে নেপথ্যকন্ঠ দিয়ে একসাথে যা সম্পাদিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইজরাইল থেকে মোবাইল ইন্টারসেপ্টর ডিভাইস সংগ্রহের বিষয়ে প্রদত্ত ভ্রান্ত প্রতিবেদনেরও তীব্র প্রতিবাদ করছে। প্রকৃত সত্যটি হল জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে মোতায়েনের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর একটি কন্টিনজেন্টের জন্য হাঙ্গেরি থেকে এসব সরঞ্জামসমূহ সংগ্রহ করা হয়েছিল। বাস্তব সত্য হলো সরঞ্জামগুলি ইজরাইলের তৈরি নয়। ইজরাইলের কাছ থেকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা/সংগ্রহের সুযোগ নেই। কারণ বাংলাদেশের সাথে এই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মনে করে এটা দেশের বিকাশ ও অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টি এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থাসমূহের মধ্যে চলমান সম্প্রীতি বিনষ্টের লক্ষ্যে স্বার্থন্বেষী মহলের অপচেষ্টা। সেনাবাহিনী বর্তমান চেইন অফ কমান্ডের অধীনে সুশৃঙ্খল, সুসংগঠিত ও পেশাদার বাহিনী এবং সংবিধান ও সরকারের প্রতি অনুগত। সেনাবাহিনী সর্বদা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল ও থাকবে । দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি ও দেশ গঠনের প্রয়াসে অবদান রাখবে।