দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পরীক্ষা ছাড়া অথবা সংক্ষিপ্তাকারে পরীক্ষা গ্রহণ করে ফলাফল প্রকাশ এবং পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পথে বিদ্যমান আইনি বাধা দূর করতে প্রয়োজনীয় বিধানের সংযোজন করে আজ সংসদে তিনটি বিল পাস করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি পৃথকভাবে বিল তিনটি পাসের প্রস্তাব করেন।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি এ ৩টি বিলের ওপর উপস্থাপিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্টে উত্থাপিত আকারে বিল তিনটি পাসের এ সুপারিশ করা হয়।
বিল তিনটি হচ্ছে ইন্টারমিডিয়েট এন্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (সংশোধন) বিল, ২০২১, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল, ২০২১ এবং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল, ২০২১।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ ও ফলাফল ঘোষণার বিধান রয়েছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বিল তিনটিতে বিদ্যমান আইন সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত বিল তিনটিতেই পরীক্ষা সংক্রান্ত বিদ্যমান বিধানের পরে, তবে করোনা মহামারি বা অতিমারিসহ ‘এক্ট অব গড’ তথা বিশেষ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে পরীক্ষা ছাড়া অথবা সংক্ষিপ্তাকারে পরীক্ষা গ্রহণ করে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ ও ফলাফল ঘোষণা করতে পরবে বলে বিধান করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, মুজিবুল হক, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, রওশন আরা মান্নান, বিএনপির হারুনুর রশীদ, রুমীন ফারহানা এবং গণফোরামের মোকাব্বির খান বিল ৩টির ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা কন্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।