কোনো কথা শোনামাত্রই কি তুমি তা বিশ্বাস করবে? হয়তো বলবে, করবে, হয়তো বলবে “আমি করবো না।” হ্যা, “আমি করবো না” বললেই সবকিছু অস্বীকার করা যায় না, হয়তো তুমি মনের গহীন গভীর থেকে ঠিকই বিশ্বাস করতে শুরু করেছো সেই কথাটি, কিন্তু মুখে অস্বীকার করছো। তাই সচেতন থাকো, তুমি কী ভাবছো — তার প্রতি; সচেতন থাকো, তুমি কি আসলেই বিশ্বাস করতে চলেছো ঐ কথাটি… শুধু এতটুকু বলি, যা-ই বিশ্বাস করো না কেন, আগে যাচাই করে নাও; আর এতে চাই তোমার প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব।
তাই কোন কথাটি কাজে লাগবে, তা নির্ধারণ করবে তুমি — হ্যাঁ, তুমি। হয়তো সামান্য ক’টা বাংলা অক্ষর: খন্ড-ত, অনুস্বার, বিঃসর্গ কিংবা চন্দ্রবিন্দু — কিন্তু যদি তুমি বিশ্বাস করো, তাহলে হয়তো তুমি তা দিয়েই তৈরি করতে পারো এক উচ্চমার্গীয় মহাকাব্য- এক চিরসবুজ অর্ঘ্য। রচিত হতে পারে পৃথিবীর ১ম বিরাম চিহ্নের ইতিকথা — এক নতুন ঊষা। …মহাকাব্য লিখতে ঋষি-মুনি হওয়া লাগে না।
অর্থহীনতা আর অর্থদ্যোতনার সেই ঈর্ষাকাতর মোহাবিষ্টতা তাই তৈরি করে নাও নিজের মাঝে- চাই একটুখানি ঔৎসুক্য। নিজেই ঠিক করো, নিজের ভাষাটা কি অর্থহীন, নাকি কিছু সত্যিই বলছে!