হোম দেশ খুলনা নড়াইলে বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

নড়াইলে বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

নড়াইলে বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

নড়াইল জেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। ধানের ভালো ফলন হওয়ায় খুশি এ জেলার কৃষকরা। ‘অশনি’ ঝড় কৃষকদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিলেও বোরোর ফলনের উপর এর প্রভাব নড়াইলে তেমন একটা পড়েনি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।

খাদ্যশস্যে উদ্বৃত্ত নড়াইল জেলায় গত বছরের তুলনায় চাষাবাদ যেমন বেড়েছে, তেমনি ফলনও ভালো হয়েছে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকেরা সহজে সোনালি ধান ঘরে তুলতে পারবেন, এমন প্রত্যাশা কৃষি কর্মকর্তাদের।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর নড়াইলের তিন উপজেলায় ৪৮ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৪৯ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৩হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে, কালিয়া উপজেলায় ১৬হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে এবং লোহাগড়া উপজেলায় ১০হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। আবাদ হওয়া জমিতে ২ লাখ ১২ হাজার ১০৩ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হবে বলে কৃষি কর্মকর্তারা আশা পোষণ করছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সময়মতো উন্নতমানের বীজ,পর্যাপ্ত সার ও কীটনাশক চাষিদের মাঝে সরবরাহ করায়, প্রণোদনার আওতায় কৃষকেরা বিনামূল্যে সার ও বীজ পাওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কারণে জেলায় বোরো ধানের ভালো ফলন ভালো হয়েছে বলে কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।মানভেদে বর্তমানে প্রতিমণ বোরো ধান বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়। ধানের দাম সন্তোষজনক হওয়ায় খুশি কৃষকেরা।

নড়াইল সদর উপজেলার সরসপুর গ্রামের রাজামিয়া বলেন, আমার দু’টি শ্যালো মেশিনে প্রায় ১৭ একর জমি চাষাবাদের আওতায় এসেছে। আবাদকৃত জমিতে ধানের ফলন ভালো হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নড়াইলের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, খাদ্যশস্যে উদ্বৃত্ত নড়াইল জেলায় এ বছর বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকরা সময় মতো বীজ, সারসহ অন্যান্য উপকরণ ঠিক মতো পাওয়ায় ধান চাষে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি। এছাড়া চলতি বোরো মৌসুমে প্রণোদনার আওতায় এ জেলায় নয় হাজার কৃষককে হাইব্রিড এবং ছয় হাজার কৃষককে উফশী জাতের বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে দামও ভালো পাওয়ায় এবছর কৃষকেরা ধান চাষে ঝুঁকেছেন। এ পর্যন্ত ৮৫ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে। অশনির প্রভাবে নড়াইলে তেমন একটা সমস্যা হয়নি বলে তিনি জানান। জেলায় উৎপাদিত ধান থেকে এলাকার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ধান-চাল অন্যত্র সরবরাহ করা সম্ভবপর হবে বলে তিনি (উপ-পরিচালক) জানান। (সূত্র : বাসস)

আরও পড়ুন: শেরপুরে ড্রাগন ফল চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে

Print Friendly, PDF & Email

কোন মন্তব্য নেই

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Exit mobile version